জীবনে খুশি কে না চায়! বর্তমানে জীবন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠেছে। অফিসের ব্যস্ততা, টার্গেট পূরণের মানসিক চাপ তো আছেই, সেই সঙ্গে পারবারিক জীবনেও সমস্যা ঘিরে ধরেছে মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে সুখে থাকবেন কীভাবে? সেই সুখের হদিশই দিলেন গৌরগোপাল দাস। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির কথা বলেন এই সন্ন্যাসী।
জীবনের কথা বলেন গৌরগোপাল দাস। কারণ ব্যস্ত জীবনে সুখে থাকাটাই চ্যালেঞ্জিং। সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার সহজপাঠ দিলেন গৌরগোপাল। কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জীবনে ভারসাম্য কীভাবে রাখা যাবে? পাঁচটি উপায় বাতলে দিয়েছেন গৌরগোপাল। তাঁর কথায়,'জীবনে ভারসাম্য বলে কিছু নেই। সাইকেল চালালে যেমন এক দিকে হেলে গেলে হ্যান্ডেল ধরে ঠিক করে নিতে হয়, তেমনই জীবনেও এদিক-ওদিক করে ভারসাম্য রাখা দরকার। কোনও সমস্যা-কষ্ট হলে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন। দরকারে অতিরিক্ত দায়িত্ব ভাগ করে নিন।'
আদতে কি মানুষ সুখী হতে পারে?
সুখ খুঁজে নিতে হয়- গৌরগোপাল দাস বলছেন, সুখ কোথাও থাকে না। সুখ তৈরি করতে লাগে। নেতিবাচকতা বা নেগেটিভিটি সমাজে এমনিই থাকে। ইতিবাচকতাকে বেছে নিতে হয়। পজিটিভি থাকা দরকার। যেমন রাগ এমনিই আসে, কিন্তু মুখ বন্ধ রাখা বেছে নিতে হয়। ঠিক জীবনে দুঃখ-কষ্ট থাকবে তার মধ্যেই খুশি খুঁজে নিতে হবে মানুষকে।
ছোট ছোট খুশিতেই সুখ- ছোট ছোট জিনিসে খুশি ও সুখ খুঁজে নিতে হবে। সারাদিন অফিসে বসের মুখঝামটার পর ফেরার পথে ঝালমুড়ি খেয়েও অনেকে সুখী হতে পারেন। একটা বাচ্চা বৃষ্টিতে ভিজছে। সেটা দেখেও অনেকের মন খুশি হয়ে উঠতে পারে। তাই ছোট ছোট জিনিসে খুশি খুঁজে নিতে হবে। বড় খুশি কবে আসছে তার অপেক্ষায় বসে থাকতে হবে না।
আরও পড়ুন- সাফল্যের ৬ মন্ত্র গৌরগোপাল দাসের, এই অভ্যাসগুলি ছাড়লেই সফল হবেন
নিজেকে গুরুত্ব- নিজেকে অবহেলা করে কোনওদিন খুশি থাকা যায় না। তাই কখনও নিজেকে অবহেলা করবেন না। অবহেলা করলে কিছুই করতে পারবেন না। গৌরগোপাল দাস বলছেন, নিজের প্রতি যত্নশীল হোন।
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস- দুনিয়া কী বলছে সে কথায় কান দিয়ে লাভ নেই। বরং নিজেকে বলুন, আপনি পারবেন। ইতিবাচক পরে হবেন, আগে নেতিবাচক চিন্তাভাবনাকে দূর করুন। নেতিবাচক ভাবলে নেতিবাচকই হবে। তাই ইতিবাচক ভাবুন। আপনি নিজেকে যদি বলেন, আমি কোটিপতি হব, হবেন কিনা সেটা পরের কথা। কিন্তু আপনি চেষ্টা শুরু করতে পারেন। কে বলতে পারে, এই চেষ্টাই হয়তো আপনাকে অনেক দূরে নিয়ে যাবে!