মা সন্তানকে জন্ম দিলেও সেই সন্তানকে পৃথিবী দেখানোর কাজ বাবাই করেন। শৈশবে সন্তানকে সঙ্গ দিতে তার সঙ্গে খেলাও করেন বাবা। যদিও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বাবাকে সর্বদা খুব কঠোর হিসাবে দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবটা কিন্তু মোটেও তেমন নয়। প্রত্যেক বাবাই তাঁর সন্তানদের খুব ভালবাসেন। হতে পারে যে তাঁরা তাদের অনুভূতিগুলি খোলাখুলিভাবে সন্তানদের সামনে বলতে পারেন না। তবে প্রতিটি পিতাই সন্তানের সাফল্যে যেমন খুশি হয়, তেমনই দুঃখ পান সন্তানের দুঃখে।
অনেক পরিবারে দেখা যায়, ছেলেরা যত বড় হয় তাদের সঙ্গে বাবার দূরত্ব বাড়তে থাকে। অনেক সময় শিশুরা বাবার সঙ্গে খোলামেলা কথাও বলতে পারে না। আসলে, কিছু বিষয় আছে যা পিতা-পুত্রের সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি করে। তাই আপনারও যদি মনে হয় যে এই বিষয়গুলির কারণে আপনাদের সম্পর্কেও তিক্ততা রয়েছে, তাহলে ফাদার্স ডে-তে তা দূর করে ফেলুন।
১. সকাল ঘুম থেকে উঠতে না পারা
বাবারা সন্তানদের ভোরে ঘুম থেকে উঠতে বলেন। এমনকি কখনও কখনও এই নিয়ে বকাঝকাও করেন। এক্ষেত্রে ছেলেদের বুঝতে হবে, তাদের ঘুম নিয়ে বাবাদের সমস্যা নেই। কিন্তু তাঁরা চান, তাঁদের সন্তানরা আরও সকালে ঘুম থেকে উঠে, ব্যায়াম করে, পড়াশোনা করুক। কারণ সকালে ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে এবং পড়াশোনা করলে তা মনে থাকে।
২. বাবার স্বপ্ন
প্রত্যেক বাবারই স্বপ্ন যে তিনি তাঁর জীবনে যা করতে পারেননি, তা ছেলেকে দিয়ে পূরণ করানোর। যেমন কোনও বাবার যদি পুলিশে চাকরির ইচ্ছা থাকত, তাহলে তিনি চেষ্টা করেন যে ছেলেকে পুলিশ অফিসার তৈরি করার। কিন্তু ছেলের যদি পুলিশে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকে, তাহলে পিতা-পুত্রের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। তবে সন্তানদের এটা মনে রাখা উচিত, যে বাবারা কখনওই তাদের জন্য খারাপ কিছু ভাববেন না। তাই একবার বাবার ইচ্ছেটা পূরণের চেষ্টা করে দেখা যেতেই পারে। তারপরেও যদি মনে হয় যে সেই কাজ ভাল লাগছে না, তখন তা পরিবর্তনের অপশান রয়েছে।
৩. তুলনা করা
অনেক বাবাকেই দেখা যায় যে তিনি তাঁর বন্ধুর ছেলের সঙ্গে নিজের ছেলের তুলনা করেন। তা নিয়ে ছেলে ও বাবার মধ্যে মতান্তরও হয়। তবে এটা মনে রাখতে হবে এটা করা উদ্দেশ্য কখনওই সন্তানকে হেয় করা হয়, বরং তাকে আরও কঠোর পরিশ্রম করে উদ্বুদ্ধ করা। তাই বাবা এই ধরনে উদাহরণ দিলে সেটিকে খারাপ হিসেবে নেওয়া উচিত নয়।
৪. কঠোর মনোভাব
এটা কোরো না, ওটা করো না, এখানে যেয়ো না, রাত আটটার পর ঘর থেকে বেরোবে না ইত্যাদি বিধিনিষেধ অনেক শিশুরই খারাপ লাগে। তবে এটা মনে রাখতে হবে, বাবারা এই ধরনের কঠোর মনোভাবের মধ্যে দিয়ে আসলে তার ভবিষ্যৎটাই গড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাকে ভুল-ঠিক চিনতে সাহাযঅয করছেন। তাই বাবাদের এমন নির্দেশে কখনওই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখান উচিত নয়।
৫. মোবাইলে সময় কাটানো
বর্তমানে প্রায় সব ছেলেমেয়ারাই মোবাইলে অনেকটা সময় কাটায়। ফলে তার প্রভাব পড়ে পড়াশোনা ও শরীরে। আর বাবারা এই নিয়ে সন্তানের বকাঝকাও করেন। কারণ বাবাদের বকুনি আসলে সন্তানজের ভালর জন্যই। এর জন্য কখনওই বাবার ওপরে রাগ করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন - নিজেকে ২০০ বারের বেশি বিষধর সাপের ছোবল খাইয়েছেন ইনি, কেন?