বিশ্বজুড়ে মানুষ যাকে 'মহাত্মা' বা 'বাপু' হিসাবে স্মরণ করেন, সেই মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবছর ২ অক্টোবর, শনিবার মহাত্মা গান্ধীর ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকী পালন করবে ভারতবর্ষ। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর দেখানো অহিংসার পথকে সম্মান জানাতে প্রতি বছর তাঁর জন্মদিন 'আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস' বা 'গান্ধী জয়ন্তী' হিসেবে পালিত হয়।
প্রতি বছর ২ অক্টোবর এই মহান দেশনেতার জীবন ও অবদানকে স্মরণ করতে ও সম্মান জানাতে গান্ধী জয়ন্তীর দিন জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষিত। দেশজুড়ে চলে নানা অনুষ্ঠান, উদযাপন। সারাজীবন অহিংসা ও সত্যের পথে হাঁটতে শিখিয়েছিলেন গান্ধীজি। এই বিশেষ দিন উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক তাঁর কিছু বাণী।
মহাত্মা গান্ধীর বাণী
* "দেশের স্বাধীনতা শুধু বীরত্বের মধ্যে দিয়েই অর্জন করা যায় না।"
* "দুর্বল মানুষ ক্ষমাশীল হতে পারে না, ক্ষমা শক্তিমানের ধর্ম।"
* "আমি সেই দেশপ্রেমে বিশ্বাস করি না। যা অন্যের দেশভক্তিকে ছোট করে।"
* "পরাজয়ই নেতার জন্ম দেয়। সাফল্য তবে গর্বের পরাজয়ের সমষ্টি।"
* "বিশ্বে যে পরিবর্তন দেখতে চান, নিজের মধ্যে আগে দেখুন।"
* "জাতীয় অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য সমাজের সব স্তরের, সব ধর্মের মানুষ একত্রিত হওয়া।"
* "মানবতার প্রতি বিশ্বাস হারাবে না। মানবতা একটি সমুদ্রের মত। সমুদ্রের কয়েক ফোঁটা নোংরা হলে, সাগর নোংরা হয় না।"
* "আপনি সংখ্যালঘু হলেও, সত্যি সর্বদা সত্যি থাকবে।"
* "আপনি কখনই আগে থেকে জানতে পারবেন না যে, আপনার কাজের কী ফলাফল হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি কিছু না করেন, তবে কোনও ফলাফলই হবে না।"
* "নম্রভাবে, আপনি গোটা বিশ্বকে ঝাঁকিয়ে দিতে পারবেন।"
গান্ধী জয়ন্তী ২০২৪ -র শুভেচ্ছা বার্তা
* এই গান্ধী জয়ন্তীতে সকলের মনে জেগে থাকুক সত্য এবং অহিংসার চেতনা।
* বাপু এবং তাঁর শিক্ষা সবসময় আমাদের শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের জন্যে লড়াই করার সাহস দিক।
* আসুন আমরা সবাই সত্যের পথে চলি এবং আজ আমাদের জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
* বাপুর সর্বজনীন ভ্রাতৃত্বের আদর্শ অনুযায়ী আমাদের সকলের চলার সাহস থাকুক। শুভ গান্ধী জয়ন্তী।
* আসুন আমরা সেই মহান ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যিনি বিশ্বকে শিখিয়েছিলেন যে, অহিংসা এবং সত্যের পথে গিয়েও কঠিন যুদ্ধে জয় লাভ করা যায়।
* গান্ধী জয়ন্তীতে, আসুন আমরা সবাই অভাবীদের সেবা করার শপথ গ্রহণ করি।