দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের খুলে গিয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলি। সরকারি ভাবে মাঝখানে খুললেও তাতে তেমন সাড়া মেলেনি। করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই মুখ ফিরিয়েছিলেন ভ্রমণের দিক থেকে। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ঘটনা। তবে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত কয়েক লক্ষ মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। অনেকেই ছেড়ে অন্য পথে চলে গিয়েছেন। তার মধ্যে পাহাড়ে কিছুটা লোকজন গেলেও ডুয়ার্সের দিকে একেবারেই পর্যটক আনাগোনা তলানিতে ঠেকেছিল।
লক্ষ্মীপুজো পর্য ন্ত সুযোগ নেই, কালীপুজোর বুকিং এখনই
১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জঙ্গল খোলার পর দীর্ঘদিন পর ডুয়ার্সে জোয়ার এসেছে। পাহাড়ের সঙ্গে ডুয়ার্স হোমস্টে গুলোতে উপচে পড়ছে ভিড়। এর মধ্যে কোনও জায়গায় তিল ধারণের জায়গা নেই বললেই। ৫ তারিখ থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত কোথাও ঘর খালি নেই। মাঝে কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত বুকিং থাকলেও কালীপুজোর বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে সে বুকিংও দ্রুত ফুরিয়ে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এখনও বুকিং না করলে সুযোগ হাতছাড়া
ফলে এক-আধজন সুযোগ পেলেও পেতে পারেন, তবে বড় টিম নিয়ে আর পুজোর মধ্যে বুকিং করার সময় শেষ। যদি না কেউ বুকিং বাতিল করেন। পাহাড়ের সিংহভাগ হোমস্টে আর জায়গা পাবে না।
হোটেল অবশ্য খালি, ঝোঁক হোম-স্টেতে
হোটেলের চেয়ে হোম-স্টের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন পর্যটকেরা। বড় হোটেল শহরের মধ্যে বা শহর অঞ্চলে হওয়ায়, সেগুলিতে ভিড় বেশি হওয়ায় সাধারণত এড়িয়ে চলার দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন পর্যটকেরা। হোমস্টে যেহেতু বিচ্ছিন্ন এবং একটি হোমস্টে অতিরিক্ত দুটি বা তিনটির বেশি ঘর প্রায় থাকে না বললেই চলে। তাই হোমস্টেতে সুযোগ বেশি থাকছে।
অনলাইনে বুকিং হওয়াতে উপচে পড়ছে ভিড়
পাশাপাশি পর্যটন দপ্তরের নিজস্ব পোর্টালে হোমস্টেগুলির বুকিং এর সুবিধা মেলাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে হোমস্টের জন্য বুকিং আসছে। তবে এই অনুষ্ঠানের পর্যটকদের মধ্যে বেশিরভাগই এ রাজ্যের বিভিন্ন অংশের মানুষ তবে বাইরের রাজ্য থেকেও কিছু কিছু মানুষ আসছেন তাতে অবশ্য কোনও আপত্তি নেই। মালিকদের কাছে এলেই হলো।