শেষ পাতে ডেজার্ট বলতে বাঙালিদের একটা বড় অংশ এখনও মিষ্টি দইকেই বোঝে। বিয়েবাড়ি হোক বা যে কোনও শুভ অনুষ্ঠান মিষ্টি দই পাতে না পড়লে খাওয়া-দাওয়াটাই অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। মিষ্টি দই খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। উৎসব পার্বণে, ভুরিভোজ থেকে রোজকার খাদ্যতালিকা, খাবার শেষে পাতে দই মিষ্টি রাখেন অনেকেই। এমনিতে শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে দইয়ের কোনও বিকল্প নেই। তবে এটা টক দইয়ের ক্ষেত্রে লাঘু হয়। মিষ্টি দইও কি শরীরের জন্য ততটাই উপকারী? উত্তরটা হল হ্যাঁ।
চিনির পরিবর্তে গুড়ের ব্যবহার
বিশেষজ্ঞদের কথায়, অন্যান্য মিষ্টির থেকে মিষ্টি দই-এর উপকারিতা বেশি। যার অন্যতম কারণ, মিষ্টি দই তৈরিতে চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর গুড় শরীরের পক্ষেও স্বাস্থ্যকর। অন্যান্য মিষ্টিতে চিনির ব্যবহার হওয়ায় তা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। তাই অন্য মিষ্টি খাওয়ার চেয়ে মিষ্টি দই খাওয়া অনেক ভাল।
হজমের জন্য উপকারী
পুষ্টিবিদরা আরও জানিয়েছেন, মিষ্টি দই হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গ্রীষ্মকালে সাধারণত পেটের বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখা দেয়। সেই সকল সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রেও মিষ্টি দই অতন্ত্য কার্যকর।
দূর করে গ্যাস-অম্বল
মিষ্টি দই অম্বলের সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে। স্বাদের দিক থেকেও মিষ্টি দইয়ের জুড়ি মেলা ভার, ঠিক তেমনই মিষ্টি দইতে থাকা বিভিন্ন উপকারী ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ভেজাল বা ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে না
দই তৈরি করা হয় দুধ ঘন করে ফুটিয়ে তাতে গুড় মিশিয়ে। সারা রাত ধরে জমিয়ে রেখে। স্বভাবতই তাই মিষ্টি দই ভেজাল বা ক্ষতিকারক পদার্থ থাকার সম্ভাবনা অনেক কম।
পেটের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল
সর্বোপরি, মিষ্টি দই পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে এবং গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ থেকে শরীর শীতল রাখে। তাই আজই শেষ পাতে যোগ করুন সুস্বাদু এই ডেজার্টটি। তবে যাদের সুগার আছে, শারিরীক ওজন বেশি তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।