ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা মূল থেকে নির্মূল করা যায় না কিন্তু জীবনধারা পরিবর্তন করে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন তৈরি করতে না পারলে বা শরীর সঠিকভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে না পারলে ডায়াবেটিসের সমস্যায় পড়তে হয়। শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়ার জন্য শুধু ডায়েটই দায়ী নয়, এর আরও অনেক কারণ রয়েছে। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নিই -
এই জিনিসগুলি রক্তে শর্করার স্তরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে
ঘুম - আপনার ঘুমের চক্র আপনার রক্তে শর্করার মাত্রার পাশাপাশি অনেক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকেও প্রভাবিত করে। সমীক্ষা অনুসারে, ঘুমের অভাব ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ এবং ইনসুলিন প্রতিরোধকে প্রভাবিত করতে পারে। ঘুমের অভাবের কারণেও আপনাকে মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হতে পারে, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রার উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার।
স্ট্রেস লেভেল- স্ট্রেস আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ কারণে অনেক রোগের সম্মুখীন হতে হতে পারে। মানসিক চাপের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রার ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। মানসিক চাপের কারণে আমাদের শরীরে কর্টিসল হরমোন তৈরি হয় যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়।
শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা- শারীরিক কার্যকলাপ না করা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি ঘটে কারণ নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। কিন্তু ডায়াবেটিসে ব্যায়াম করার সময় কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। ডায়াবেটিসে বিশেষজ্ঞ ছাড়া ভারী ব্যায়াম করলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাও হঠাৎ করে কমে যেতে পারে।
ডিহাইড্রেশন- কম জল পান করা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আপনি যখন কম জল পান করেন, তখন তা আপনার শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায়, যাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে। এমন পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিস রোগীদের সর্বোচ্চ পরিমাণে জল পান করা জরুরি। ওষুধ- অনেক সময় ওষুধের কারণে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এমতাবস্থায় ডায়াবেটিক রোগীদের যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।