এমন অনেক খাবার রয়েছে যা শরীর সুস্থ রাখতে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এই সমস্ত খাবার অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এমন কিছু খাবার আছে যা সারা রাত ভিজিয়ে,পরের দিন খেলে তার উপকারিতা দ্বিগুণ হয়। এগুলির পুষ্টিগুণ বৃদ্ধির পাশাপাশি সহজে হজম হয়। জানুন সুস্থ থাকতে, কোন খাবারগুলি ভিজিয়ে খেতে পারেন।
* মেথি
মেথিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। এটি আমাদের অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগা মানুষদের জন্য মেথি একটি খুব ভাল প্রতিকার হিসেবে প্রমাণিত। প্রতিদিন মেথি খেলে আপনার হজমশক্তি ঠিক থাকে। মেথি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সারা রাত জলে মেথি ভিজিয়ে রাখলে পিরিয়ডের ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
* পোস্ত
পোস্ত বিপাক বৃদ্ধিতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। সারা রাত ভিজিয়ে রাখা পোস্ত খেলে তা আরও অনেক বেশী উপকারী। এর ফলে শরীরে চর্বি জমে না।
* তিসি
তিসিতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। যারা মাছ খান না, তাদের জন্য তিসি খুবই উপকারী। জলে ভিজিয়ে রাখা তিসি উচ্চ কোলেস্টেরলে ভুগছেন এমন লোকদের জন্য খুব ভাল। এটি শরীরের জন্য ভাল এবং খারাপ কোলেস্টেরল থেকে দূরে রাখে। তিসিতে ডায়েটারি ফাইবারও রয়েছে যা, হজমের জন্যও ভাল।
* কিশমিশ
কিশমিশে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রন পাওয়া যায়। প্রতিদিন রাতে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ সকালে খেলে শরীরে বেড়ে ওঠা ক্যান্সার কোষ প্রতিরোধ করা যায়। ভেজানো কিশমিশ খেলে ত্বকও সুস্থ ও দাগহীন থাকে। আপনি যদি রক্তশূন্যতা বা কিডনিতে পাথরের সমস্যায় পড়েন, তাহলে ভেজানো কিশমিশ আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারে।
* সবুজ মুগ
ভেজানো সবুজ মুগ ডাল প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন বি সমৃদ্ধ। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়। মুগে অ্যান্টি- অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি, যা ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদির মতো দুরারোগ্য রোগের ঝুঁকি কমায়।
তবে মনে রাখতে হবে কোনও কিছুই অত্যাধিক পরিমাণে খাওয়া ভাল না। এতে উপকারের চেয়ে অপকার বেশী হতে পারে। তাই উপরে উল্লেখিত খাবারগুলি আপনার জন্যেও উপকারী নাকি হতে পারে ক্ষতি, তা জানতে পরামর্শ করুন বিশেষজ্ঞর সঙ্গে।