Heart Attack Early Symptoms & Signs: গত বছর ৩১ মে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ অর্থাৎ কেকে। রিপোর্টে জানা যায়, বাম প্রধান করোনারি ধমনীসহ অন্যান্য ধমনী-উপ ধমনীতে ব্লকেজ ছিল সঙ্গীতশিল্পীর। এ কারণে লাইভ শো চলাকালীন তাঁর রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে, হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের (Myocardial Infarction) কারণে কেকে-র মৃত্যু হয়।
বর্তমান যুগের ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের অভাব, জাঙ্ক ফুড, ধূমপান ও অ্যালকোহলের মতো অভ্যাস যৌবনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর কিছু সতর্ক সংকেত দেয়, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়।
মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাক কী?
মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, যা সাধারণত হার্ট অ্যাটাক নামে পরিচিত। তখন ঘটে যখন হৃৎপিণ্ডের পেশীর একটি অংশ পর্যাপ্ত রক্ত পায় না। ইউএস-ভিত্তিক সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (Center for Disease Control and Prevention / CDC) অনুসারে, করোনারি ধমনীতে হঠাৎ সংকীর্ণ হওয়ার কারণে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। যা, হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত প্রবাহকে বাধা দিতে পারে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক এড়াতে এর লক্ষণগ জানা জরুরি। জানুন, হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর কী কী সংকেত দেয়।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization/ WHO) মতে, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদরোগ। প্রতিবছর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১.৭৯ কোটি মানুষ মারা যায়। যা, কোনও ছোট পরিসংখ্যান নয়। হৃদরোগের জন্য সাধারণ ঝুঁকির কারণগুলি হল অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, কম শারীরিক পরিশ্রম, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার বৃদ্ধি, অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতা।
যদিও ব্যক্তি বিশেষে লক্ষণ আলাদা হলেও, হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বুকে ব্যথা, অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট, ঘাড়ে- পিঠে, বাহুতে বা কাঁধে ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, অম্বল/বদহজম। এছাড়া চোয়াল, ঘাড় বা পিঠে ব্যথা বা অস্বস্তি, বয়স বা পারিবারিক ইতিহাস, ঠান্ডা ঘাম।
কীভাবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা উচ্চ রক্তচাপ, অস্বাস্থ্যকর রক্তের কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস এবং স্থূলতায় ভুগছেন, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি। বিশেষজ্ঞরা জানান, হার্ট অ্যাটাক এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, কোলেস্টেরল বজায় রাখুন। হার্ট অ্যাটাক এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ওজন নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল মাত্রা ঠিক রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, যোগব্যায়াম এবং কিছু কার্ডিও অ্যাক্টিভিটিও করতে হবে। বয়স বা পারিবারিক ইতিহাসের মতো কারণগুলি পরিবর্তন করা যায় না, তবে অন্যান্য কারণগুলি নিয়ন্ত্রণ করলে রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে।