Advertisement

Heart Attack Symptoms In Women: মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ পুরুষদের থেকে আলাদা, জেনে রাখা দরকার

ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতীয় নারীদের মধ্যে ৩% থেকে ১৩% পর্যন্ত করোনারি আর্টারি ডিজিজ দেখা যাচ্ছে, যা গত ২০ বছরে প্রায় ৩০০% বেড়েছে।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 07 Jul 2025,
  • अपडेटेड 5:33 PM IST
  • ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
  • আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতীয় নারীদের মধ্যে ৩% থেকে ১৩% পর্যন্ত করোনারি আর্টারি ডিজিজ দেখা যাচ্ছে, যা গত ২০ বছরে প্রায় ৩০০% বেড়েছে।

ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতীয় নারীদের মধ্যে ৩% থেকে ১৩% পর্যন্ত করোনারি আর্টারি ডিজিজ দেখা যাচ্ছে, যা গত ২০ বছরে প্রায় ৩০০% বেড়েছে। গড়ে ভারতীয় মহিলারা ৫৯ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হন, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম বয়স।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ অনেকটাই ভিন্ন। পুরুষদের ক্ষেত্রে যেখানেই তীব্র বুকে ব্যথা দেখা যায়, নারীরা পিঠে, চোয়ালে, পেটে অস্বস্তি, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, এমনকি শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান। দুর্ভাগ্যবশত, এই উপসর্গগুলো অনেক সময় অ্যাসিডিটি বা মানসিক ক্লান্তি বলে ভুল করেন রোগীরা। ফলে চিকিৎসায় দেরি হয়।

মহিলাদের হৃদরোগের ঝুঁকির কিছু নির্দিষ্ট কারণ আছে, যেমন অকাল মেনোপজ, গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস, পলিসিস্টিক ওভারির মতো হরমোনজনিত অসুখ এবং মানসিক চাপ। এগুলো হৃদরোগের আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

এজন্যই চিকিৎসকরা বলছেন, ২০–৩০ বছর বয়স থেকেই নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাবার এবং ধূমপান থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৪০–৫০ বছর বয়সে নিয়মিত রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, এবং সুগার পরীক্ষা করা উচিত। মেনোপজের পর ঝুঁকি বাড়ে, তাই এই সময়ে আরও সতর্ক থাকা জরুরি।

মহিলাদের জন্য কিছু বিশেষ পরীক্ষাও রয়েছে যা হৃদযন্ত্রের অবস্থা বুঝতে সাহায্য করে। 
ইকোকার্ডিওগ্রাম (ECHO) – হৃদপিণ্ডের গঠন ও কর্মক্ষমতা দেখা যায়।
ট্রেডমিল টেস্ট (TMT) – শরীরচর্চার সময় হৃদপিণ্ডের প্রতিক্রিয়া কেমন বোঝা যায়।
অ্যাপোলিপোপ্রোটিন এ ও বি – কোলেস্টেরলের বিস্তারিত বিশ্লেষণ।
প্লাক ইমেজিং (সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি/ক্যালসিয়াম স্কোর) – আর্টারিতে ব্লকেজ বোঝার জন্য।

ভারতের মতো দেশে যেখানে মহিলারা নিজের শরীরের সমস্যাকে প্রায়ই গুরুত্ব দেন না, সেখানে হৃদরোগের প্রতিরোধ ও আগাম সতর্কতার গুরুত্ব অনেক বেশি। এই বিষয়ে সচেতনতা এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলেই নারীদের হৃদরোগে মৃত্যুহার অনেক কমানো সম্ভব।

 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement