বর্তমানে অনেক মানুষই উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যায় ভুগছেন। এটা এখন সাধারণ লাইফস্টাইলের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময়মতো এটি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে শরীরের পক্ষে বড়সড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের খাবারে কিছু পরিবর্তন এনে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। মনে রাখবেন, এই বিষয়ে সঠিক তথ্য খুবই জরুরি। তবেই সমস্যাগুলির সমাধান করতে পারবেন।
উচ্চ রক্তচাপ কী?
উচ্চ রক্তচাপ-এ হার্টের ধমনীতে চাপ বাড়ে। ফলে শরীরের বাকি অংশে রক্ত সরবরাহের জন্য বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হয়। আর এই অবস্থাকেই বলা হয় উচ্চ রক্তচাপ।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ? (High BP Symptoms)
মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং নার্ভাসনেস উচ্চ রক্তচাপের প্রধান লক্ষণ। শরীরে যখনই এমন সংকেত পাবেন, তখনই বুঝবেন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার সময় এসে গিয়েছে।
এই ভুলগ কখনও করবেন না
মানুষ প্রায়শই রক্তচাপের সমস্যা ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়া শুরু করে। কিন্তু সেই ওষুধ নিয়ম করে খেয়ে যেতে হয়। বাদ গেলেই শরীরে দেখা দেয় অস্বস্তি। তার চেয়ে ভাল উপায় হল ঘরোয়া প্রতিকার এবং খাবারদাবারে পরিবর্তন এনে এটি নিয়ন্ত্রণ করা। সেক্ষেত্রে এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি মেনে চলতে পারেন।
১. আমলকীর রস রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। রক্তচাপের রোগীদের প্রতিদিন একটি করে আমলকি খাওয়া উচিত।
২. প্রতিদিন রসুন খান। এতে রয়েছে অ্যালিসিন, যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়ায়। এতে ধমনী ও শিরার ওপর চাপ কমে।
৩. ফ্ল্যাক্সে পাওয়া আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড, যা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি রূপ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি দেয়।
৪. তিলের তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে।
৫. ড্রামস্টিক গাছ একটি দেশীয় সবজি। এতে হাই প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে।
কীভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবেন? (High BP Control)
প্রতিদিন ৩০ থেকে ৬০ মিনিট ওয়ার্কআউট করুন। এটি হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করবে এবং শরীরে রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটাবে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তাহে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন - শীতে পুরুষের দুর্বলতা দূর করে-স্ট্যামিনা বাড়ায় কালো খেজুর, আপনিও খেতে পারেন