ডায়াবেটিস অত্যন্ত ভয়ঙ্কর একটি রোগ। বর্তমান দিনে প্রায় প্রতিটি পরিবারের সুগার বিষাক্ত থাবা বসিয়েছে। যে কোনও বয়সেই ব্লাডসুগার নামক আতঙ্ক শরীরকে ছেঁকে ধরতে পারে। এর অন্যতম কারণ খারাপ খাবার দাবার, নিম্নমানের জীবনশৈলী, ঘুম বা বিশ্রাম সঠিক পরিমাণে না হওয়া। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সবার আগে ব্লাডসুগারের স্তর বর্তমানে কত তা ভাল করে দেখতে হবে। ব্লাডসুগারের স্তর ঠিক কত হলে বুঝতে পারা যাবে সুগারে আক্রান্ত ৷ আর ব্লাডসুগারের স্তর ঠিক কত হলে বলা যেতে পারে স্বাভাবিক। আসুন জেনে নিন ডায়াবেটিসের কোন ক্ষেত্রে কোন স্তরকে ভয়ঙ্কর বলে মনে করা হয়।
ব্লাডসুগারের স্তর কেমন জানতে হলে সবার আগে জানতে হবে খাওয়ার আগে, খাওয়ার পরে এইচবিএআইওয়ান (HbA1c) সি রক্ত পরীক্ষা করে জানতে হবে।
-খালি পেটে (70-99 mg/dL) থাকতে হবে ব্লাডসুগারের স্তর, ভরা পেটে (100-125 mg/dL) আর 126 mg/dL-এর উপরে থাকলে ডায়াবেটিস আছে বলে মনে করা হয়।
-খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে 140 mg/dL ব্লাডসুগারের স্তর হল স্বাভাবিক ৷ প্রিডায়াবেটিস 140-199 mg/dL, ডায়াবেটিস 200 mg/dL বা এর থেকে বেশি হতে পারে।
-HbA1c (বিগত তিন মাসের ব্লাডসুগারের গড়)৷ স্বাভাবিক ৫.৭ শতাংশ, প্রিডায়াবেটিস ৫.৭ থেকে ৬.৭ শতাংশ, ৬.৫ শতাংশ বা তার বেশি হল ৬.৫ শতাংশ।
ডায়াবেটিস হলে ব্লাডসুগারের স্তর ঠিক কতখানি হতে পারে?
ডায়াবেটিসে ব্লাডসুগারের স্তর অনিয়ন্ত্রিত থাকলে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে ৷ যেমন খাদ্য, সঠিক সময়ে ওষুধ খাওয়া, একই সঙ্গে শরীরচর্চা করা। কোন ব্যক্তি ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করছেন না মানেই তাঁদের ফাস্টিং সুগার ২০০ mg/dL বা তার থেকে বেশি, খাওয়ার পরে ৩০০ mg/dL বা তার বেশি হতে পারে।
ঠিক কোন সময়ে ব্লাডসুগার স্তরকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়?
যখন ব্লাডসুগারের স্তর 70 mg/dL-এর কম হয় তখন (Hypoglycemia) হয়ে থাকে ৷ যে যে উপসর্গ দেখা দেয় সেটি হল দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, ঘাম হওয়া, টেনশন করা ইত্যাদি লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়।