আগামী ৭ মার্চ দোলযাত্রা (Dolyatra) ও ৮ মার্চ হোলি (Holi)। প্রতি বছর দেশজুড়ে পালিত হয় রঙের উৎসব (Festival Of Colours)। দোলযাত্রার জন্য সারা বছর মুখিয়ে থাকেন প্রায় সকলে। বর্তমানে হোলিতে বহুবিধ বাজারজাত রং পাওয়া যায়। আবিরের সঙ্গেও নানাবিধ রাসায়নিক ও সিন্থেটিক রঞ্জক মেশানো থাকে। যা ত্বক ও পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এই রং যে শুধু মানুষের জন্য ক্ষতিকারক তা কিন্তু নয়, যে কোনও রং পশু- পাখির (Animals- Birds) জন্যেও ক্ষতিকারক।
অনেকে না জেনে বাড়ির পোষ্যর (Pets) গায়ে রং লাগান দোলের দিন। আবার ইচ্ছেকৃতভাবে সারমেয়দের গায়ে রং দেন। যেটা খুবই ক্ষতিকারক পশু- পাখিদের জন্য। ফলে অনেকক্ষেত্রেই এদিন পোষ্যরা অনেকটা ভয়ে থাকে, নিরাপত্তার অভাব অনুভব করে। জানুন হোলিতে কীভাবে আপনার আদরের পোষ্যকে নিরাপদে রাখবেন।
রং থেকে দূরে রাখুন (Keep Pets from Colour)
আপনার পোষ্যকে রাসায়নিক রঙের সংস্পর্শে আসতে দেবেন না। এই রং পোষ্যর পশম ও ত্বকের জন্য খুব বিষাক্ত হতে পারে। যদি রং চোখ বা কানে প্রবেশ করে, তবে অন্ধত্ব বা আরও গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা নিরাময়ে দীর্ঘ সময় লাগে। রং লেগে আছে এরকম কোনও জিনিসও পোষ্য থেকে দূরে রাখুন। নয়তো অ্যালার্জি, বমি, ডায়রিয়া, ফুসকুড়ি সহ আরও অনেক রোগ দেখা দিতে পারে। জল বেলুন প্রাণীটির গায়ে যাতে কেউ না ছুঁড়ে মারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
পোষ্যর ত্বকের যত্ন (Skincare for Pets)
পোষ্যর ত্বকে নারকেল তেল লাগাতে পারেন হোলির সকালে, যাতে রং লাগলেও তা পরিষ্কার করতে সুবিধা হয়। হোলির দিন পোষ্যকে হাঁটতে নিয়ে যেতে চাইলে, খুব সকালে নিয়ে যান। এরকম শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যা, শুধুমাত্র পোষ্যদের রং ধুয়ে ফেলার জন্য। পোষ্যর জন্য রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন যা, অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। প্রাণীর গায়ে রং লাগলে, পরিষ্কার করতে ভুলেও কেরোসিন বা স্পিরিট ব্যবহার করবেন না।
মিষ্টি বা ভাজাভুজি খাওয়াবেন না (Do not feed them Sweets or Fries)
হোলির দিন সুস্বাদু মিষ্টি, লস্যি বা রকমারি ভাজাভুজি খাওয়া হয়। অনেকে ভালোবেসে পোষ্যকে এই সব খাবার খেতে দেন। মিষ্টি বা তেল- মশলাযুক্ত খাবার, প্রাণীদের জন্য ভাল নয়। খেয়াল রাখুন যেন, ক্ষতিকারক কিছু না খায় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করে।
আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন (Observe their behaviour)
কী প্রতিক্রিয়া দেখায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। উদ্বিগ্ন, শান্ত না কীরকম দেখাচ্ছে আচরণ করছে তা পর্যবেক্ষণ করুন। বহুক্ষেত্রে ভয় পেয়ে ফাঁকা জায়গায় প্রস্রাব করার প্রবণতা থাকে।
** তবে যে কোনও ধরনের সমস্যায় ঝুঁকি না নিয়ে যোগাযোগ করুন পশুরোগ বিশেষজ্ঞর সঙ্গে।