অনেকেই স্থূলতা নিয়ে সমস্যায় পড়েন। মনে রাখবেন স্থূলতা নিজে কোনও রোগ নয়। তবে এটি অবশ্যই অনেক রোগের মূল কারণ। এর থেকে হাই কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি রয়েছে। তাই ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম এবং কঠোর ডায়েট অনুসরণ করতে হয়। এই বিষয়ে ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, মধুর সঙ্গে যদি বিশেষ কিছু জিনিস মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে ওজন দ্রুত কমে। যার ফলে খুব সহজেই হওয়া যায় স্লিম।
মধুতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ
আমরা সকলেই জানি যে মিষ্টি জিনিস বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। তবে মধু যদি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে সেটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি, নিয়াসিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট এবং রিবোফ্লাভিন, যেগুলির মাধ্যমে ওজন কমানো যায়। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক, মধুর সঙ্গে কোন জিনিসগুলি খেলে ওজন কমে।
১. গরম জল
মধু ও উষ্ণ জল একসঙ্গে মিশিয়েও পান করা যেতে পারে। এর জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জল ফুটিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে নিন। এরপর সেটি কিছুটা ঠান্ডা হলে খেয়ে ফেলুন। এত পেট এবং কোমরের চর্বি দ্রুত কমে যায়। পাশাপাশি খিদেও কম পায়। ফলে ওজন বৃদ্ধি এড়ানো সম্ভব হয়।
২. লেবুর রস
ওজন কমানোর জন্য মধু এবং লেবুর রসের সংমিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়। এটি বছরের পর বছর ধরে চলে আসা একটি ঘরোয়া প্রতিকার। এর জন্য প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস জল গরম করে তাতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এটি মেটাবলিজম বাড়ায় এবং শরীরের ফ্যাট বার্ন করতে শুরু করে। এর সঙ্গে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থও বের হয়ে যায়।
৩. দুধ
দুধ একটি সুষম খাবার। আর এর সঙ্গে মধু মেশালে তার পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ মধু মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করুন। এতে মেটাবলিজম বাড়ে এবং দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা থাকে না। যার ফলে ওজন কমানো সহজ হয়।
৪. দারুচিনি
রেসিপির স্বাদ বাড়াতে দারুচিনি ব্যবহার করা হয়। আবার দারুচিনি ও মধুর কম্বিনেশন ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক গ্লাস জলে এক টুকরো দারুচিনি ফুটিয়ে নিন। তারপর সেটি ছেঁকে নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে পান করুন।
আরও পড়ুন - রাতে ঘুমের আগে করুন সহজ ৩ কাজ, ওজন কমবে হুড়মুড়িয়ে