আপনি যদি এমন জায়গায় থাকেন? যেখানে মেন রোডের সঙ্গে খুব কাছে বাজার এলাকায় আপনার বাড়ি, আপনি যেখানে থাকেন, তার চারপাশে সব সময় হই হট্টগোলে পরিবেশ থাকে এবং অনেক রাত পর্যন্ত চিৎকার চেঁচামেচি হইচই চলতে থাকে।যদি আপনি এরকম জায়গায় থাকেন, তাহলে কিন্তু সাবধান হওয়ার সময় এসেছে।
কেন সাবধানতা ?
এই রোজকার হইচই, কোলাহল আপনার জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে। ট্রাফিক এলাকার আশপাশে থাকা লোকেদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যারা শান্ত এলাকায় থাকেন, তাঁদের চাইতে বহুগুণ বেড়ে যায় তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। একটি গবেষণা অনুযায়ী, ট্রাফিক বেশি এমন এলাকায় থাকেন যাঁরা তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
কী বলছেন গবেষকরা?
গবেষকরা জানিয়েছেন যে, বিমানের আওয়াজ চেয়ে রাস্তায় গাড়ি এবং ট্রেনের আওয়াজের সমস্যা বেশি ভয়ঙ্কর। গাড়ির মতই সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ট্রেনের ঘরঘর আওয়াজ ও সাইরেন। যাঁরা স্টেশন এলাকায় কিংবা রেললাইনের পাশে থাকেন, তাদের ওই ধরনের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণ।
জার্মানির ডেসড্রন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির গবেষকদের রিপোর্ট
জার্মানির ডেসড্রন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির গবেষক আন্দ্রিয়াস সিডলার এবং তার সহযোগীরা একটি গবেষণায় মনোনিবেশ করেছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন বিমা কোম্পানির পরিসংখ্যান নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। এই গবেষণার ভিত্তিতে তাঁদের দাবি, প্রধান সড়ক এর কাছে যাঁরা থাকেন, তাঁদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বহুলাংশে বেড়ে যায়।
এখন উপায় কী?
এই পরিস্থিতে যদি আপনি রোজকার হইচই, চিৎকার-চেঁচামেচি গাড়ির হর্ন, ট্রেনের শব্দের মধ্যে থাকতে হয়, আর শব্দব্রহ্মের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেন, তাহলে আপনার জীবনে বড়োসড়ো বিপদ ডেকে আনছেন হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয়, সেই সমস্ত এলাকা থেকে সরে গিয়ে আপনি যদি তুলনামূলক শান্ত এলাকায় বসবাস করতে পারেন। আর সম্ভব না হলে ঘরবাড়ি, দরজা-জানলা এয়ার টাইট করে রাখতে পারেন। যাতে সব সময় শব্দ ভেতরে না আসে কিংবা এলেও খুব ক্ষীণ আওয়াজ হয়।