How to Consume Jaggery: শীতে বুক, শ্বাস ও পেটের রোগে অনেকে কষ্ট পান। যা প্রতিরোধে বিশুদ্ধ ও ঘরোয়া খাবার উপকারী প্রমাণিত হয়। শীতে শরীর সুস্থ রাখতে বাড়ির জিনিস খাওয়াকে উপকারী বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গুড় এমনই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার, যা শীতে রোগ প্রতিরোধ করে। এই প্রাকৃতিক মিষ্টি পদার্থটি আয়রন, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। কিন্তু জানেন কি পুরনো গুড় কতটা উপকারী? আয়ুর্বেদে গুড় খাওয়ার আগে এই ৫টি জিনিস মাথায় রাখতে বলা হয়েছে ।
পুরনো গুড় খাওয়ার উপকারিতা
আয়ুর্বেদে গুড় খাওয়ার উপকারিতা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে এটি চিনির সেরা স্বাস্থ্যকর বিকল্প। যা অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। যকৃত এবং প্লীহার রোগে এটি খাওয়া উপকারী এবং এটি হৃৎপিণ্ড ও বাত দোষের ভারসাম্যের জন্য ভাল।
১ বছরের পুরনো গুড় খাওয়া উচিত
১ বছরের পুরানো গুড় শরীরের জন্য হালকা। যা শরীরের চ্যানেলগুলিকে ব্লক করে না এবং আরও ভাল উপায়ে রক্ত পরিষ্কার করে। নতুন গুড় খেলে পেটে কৃমির সংক্রমণ হতে পারে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও কফের ভারসাম্য নষ্ট হয় । যার কারণে সর্দি-কাশি হতে পারে।
গুড় খাওয়ার সঠিক উপায় কী?
দুধের সাথে গুড় খাবেন না
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা দুধের সঙ্গে গুড় খেতে নিষেধ করেন । এই দুটির প্রভাব একে অপরের বিপরীত, যা শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
পুরানো গুড় নোনতা স্বাদযুক্ত
আয়ুর্বেদিক চিকিত্সকদের মতে, পুরনো গুড়ের স্বাদ কিছুটা নোনতা এবং গাঢ় রঙের। কিন্তু গুড়ের স্বাদ বেশি নোনতা মনে হলে বুঝবেন তাতে ভেজাল রয়েছে।
খাঁটি গুড় কীভাবে চিনবেন
গুড়ের রঙ হালকা করতে এতে যোগ করা হয় সোডিয়াম বাইকার্বনেট এবং ক্যালসিয়াম বাইকার্বনেট। খাঁটি গুড় শনাক্ত করতে, এক গ্লাস জলে গুড়ের একটি ছোট টুকরা রাখুন। যদি ভেজাল হয়ে থাকে তবে সাদা পাউডার গ্লাসের নীচে বসতে শুরু করবে।
Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।