আজ নবমী। রাত পোহালেই দশমী। মায়ের বিদায়বেলা। তাই মনটা একটু ভার তো অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু এটাই যে নিয়ম। এই নিয়মকে মাথা নত করে মেনে নিতে হবে।
তাই দশমীতে বিসর্জনের পর একটু মিষ্টি মুখ হল মাস্ট। তবে এই সামান্য মিষ্টি মুখ নিয়েও দ্বিধায় থাকেন ডায়বেটিকরা। তাঁদের মধ্যে একদল সুগার বেড়ে যাওয়ার ভয়ে মিষ্টি এড়িয়ে যেতে চান। অপর একটি দল আবার কিছু না মেনেই অনেকটা খেয়ে নেন। আর সেটাই ভুল করেন।
তাই আমরা এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেব, যেগুলির মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগীরাও বিজয়াতে মিষ্টি খেতে পারবেন।
ভাজা মিষ্টি নয়
অনেকেই ভাজা মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন। তবে এই ধরনের মিষ্টিগুলি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একবারেই ভালো নয়। এগুলি রক্তে সুগার বাড়াতে পারে। যার ফলে শরীরের ক্ষতির রয়েছে আশঙ্কা। তাই চেষ্টা করুন ভাজা মিষ্টি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার।
তাহলে কী খাবেন?
এক্ষেত্রে সবথেকে ভালো হয় সুগার ফ্রি মিষ্টি খেলে। এই ধরনের মিষ্টি এখন প্রায় সব দোকানেই পাওয়া যায়। সেগুলি খেলে সুগার বাড়ার আশঙ্কা কম। তবে সবথেকে ভালো হয়, বাড়িতে সুগার ফ্রি মিষ্টি বানিয়ে খেলে। তাতে মিষ্টির গুণমান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন।
তবে যাঁরা সুগার ফ্রি খেতে চাইছেন না, তাঁরা যে কোনও হালকা মিষ্টি খেতে পারেন। এমনকী চাইলে রস চিপে খেয়ে নিতে পারেন রসগোল্লা। তাতেও খুব একটা সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
একটার বেশি নয়
চেষ্টা করুন গোটা দিনে একটার বেশি মিষ্টি না খাওয়ার। আর অবশ্যই দুপুরে বা সন্ধে সন্ধেতে মিষ্টিটা খেয়ে নিন। রাতে মিষ্টি খাওয়া চলবে না। এই নিয়মটা মেনে চললে শরীর মিষ্টির ক্যালোরিকে পুড়িয়ে ফেলার সময় পাবে। রাতে খেলে ক্যালোরি পোড়ানোর সময় পাওয়া যাবে না।
এক্সারসাইজ করুন
মিষ্টি খেয়েছেন ঠিক আছে। তাই আজকে একটু বেশি ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে ৩০ মিনিটের বদলে ১ ঘণ্টা হেঁটে নিন বা করুন এক্সারসাইজ। তাতে মিষ্টির ক্যালোরি পুড়িয়ে ফেলতে পারবেন।
অন্য খাবার সমঝে খান
মিষ্টি খেলে আবার অন্য কোনও তেল মশলাদার খাবার খাওয়া যাবে না। তাতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। বরং এদিন হালকা খাবার খান। শাক, সবজি বেশি খেতে হবে।
ব্যাস, এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই অনায়াসে সুস্থ থাকতে পারবেন।
বিদ্র: এই প্রতিবেদটি সচেতনতার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছে। কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।