Radish Health Benefits: বেশিরভাগ মানুষই মুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকেন, কারণ এটি খাওয়ার পরে পেটে বেশি করে গ্যাস তৈরি হয়, যা প্রায়শই বিব্রত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অথবা পেট ব্যথার সম্মুখীন হতে হবে। আসলে, এটি অতিরিক্ত গ্যাস গঠনের বিষয় হোক বা পেট ব্যথা, মুলো খাওয়ার পর যদি আপনার এই সমস্যাগুলো হয়, তাহলে মুলো নয় বরং আপনার মুলো খাওয়ার পদ্ধতিই দায়ি। এসব সমস্যা এড়াতে আয়ুর্বেদিক নিয়ম মেনে মুলো খান।
মূলা খাওয়ার সঠিক সময়
পেট ব্যথা এবং গ্যাস এড়াতে জেনে নিন খালি পেটে বা রাতের খাবারে কখনই মুলো খাওয়া উচিত নয়। সঠিক কথা হল খাবারের সাথে মুলো খাওয়া উচিত নয়। হ্যাঁ, রান্না করা খাবারের সঙ্গে সালাদ আকারে কাঁচা সবজি খাওয়া ঠিক নয়। এতে পাচনতন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে, সেই সঙ্গে খাবার হজম করাও কঠিন হয়ে পড়ে।
আপনার সকালের ব্রেকফাস্টের পর মুলো খাওয়া উচিত। এছাড়া দুপুরের খাবার বা মধ্যাহ্নভোজ এবং রাতের খাবারের মধ্যে যে স্ন্যাক্স টাইম হয়, আপনার এই সময়ে মুলো খাওয়া উচিত। এই সময়ে মুলো খেলে এর হজম ভালো হবে এবং আপনার শরীর এর সব পুষ্টি পাবে।
- মুলো খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি হল আপনি এটির খোসা ছাড়িয়ে কালো লবণ দিয়ে খান।
- মুলো খাওয়ার সময় এর সাথে অন্যান্য কাঁচা সবজি যেমন শসা, টমেটো, গাজর ইত্যাদি মিশিয়ে নিন। এতে করে স্বাদও বাড়বে এবং পুষ্টির পরিমাণও বাড়বে।
- মুলোখাওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন এটি যেন খুব বেশি পাকা না হয় , যেন সালাড মুলো হয়। অর্থাৎ পাতলা, ছোট এবং স্বাদে মিষ্টি।
- মুলো খাওয়ার পর এক জায়গায় না বসে একটু হাঁটাহাঁটি করুন, কারণ মুলো হজম হতে সময় নেয়। এক জায়গায় বসে থাকলে এর হজমের সময় বেড়ে যায়।
- এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে মুলো খাবেন, পেট ব্যথা, গ্যাসের সমস্যায় ভুগবেন না। এছাড়াও আপনি মুলোর স্বাদ উপভোগ করতে সক্ষম হবেন।
রাতে ভুল করেও মুলো খাবেন না
- রাতে যেকোন রূপে মুলো খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। সেটা মুলোর সালাড বা মুলোর সবজি ও পরোটা যেটাই হোক না। রাতের খাবারে মুলো খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে।
- যাদের শরীরে ব্যথা বেশি থাকে এবং যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, এই ধরনের লোকদের মুলো খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ মুলো খেলে আপনার ব্যথা ও গ্যাস তৈরি হতে পারে।
- শীতকালে প্রতিদিন মুলো খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা এড়ানো যায়।
- মুলো খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
- মুলো পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং হজমের উন্নতির জন্য উপকারী।
- মুলো রক্তে শর্করার পরিমাণও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।