Hight Increase Tips : লম্বা হতে সবাই চায়। কিন্তু সবার ইচ্ছা পূরণ তো হয় না। জন্ম থেকে আমাদের বেড়ে ওঠা পর্যন্ত শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, খাওয়া, দাওয়া, জিন আমাদের উচ্চতার নিয়ন্ত্রক হয়ে দাঁড়ায়। কেউ লম্বা, কেউ কেউ মাঝারি কেউ খাটো। তার জন্য তার জীবনের সব সাফল্য নির্ভর করে না ঠিকই, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে উচ্চতা একটা প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় তো বটেই। আসলে বেশ কিছু জিনিস আমাদের উচ্চতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। যেগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে আপনি আপনার জীবন-যাপনে সাধারণ অদল-বদল করে উচ্চতা কিছুটা বাড়াতে পারবেন।
তবে ডায়েট উচ্চতাকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এর একটা অন্যতম ভূমিকা রয়েছে। জেনেটিক্স তো রয়েইছে, তার পাশাপাশি এবং সঠিক আহার ও জীবনযাপন আমাদের উচ্চতা বাড়াতে পারে। বলা হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ শরীরের অংশ জিনগত কারণেই লম্বা হয়। যেটা আপনি কন্ট্রোল করতে পারবেন না। কিন্তু বাকি ৪০ শতাংশ আপনি কিন্তু কিছুটা কন্ট্রোল করতে পারেন। আমরা জানা না থাকায় তা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিই।যেভাবে চলছে সেভাবেই চলে। শেষমেষ যতটুকু লম্বা হই, তাকেই পাওয়া চোদ্দ আনা বলে মেনে নিয়ে জীবন যাপন করি এবং তাকে জীবনের অঙ্গ হিসেবে মেনে নিই।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এক বছর পর্যন্ত এক বছর বয়স থেকে সময় নিয়ে যুবা অবস্থা পর্যন্ত লম্বা হোন দু ইঞ্চি পর্যন্ত অবস্থায় আসার পরে আপনি প্রতি বছর ৪ ইঞ্চি করে বাড়তে পারেন। কিন্তু উচ্চতা বাড়ার সবার জন্য আলাদা আলাদা মান রয়েছে। সাধারণভাবে মনে করা হয় ১৮ বছর বয়সের পর থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির হার কমে যায়। কিন্তু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে যদি আপনি তার আপনার জীবন যাপনে কিছু সাধারণ পরিবর্তন করেন, তাহলে যুবা অবস্থার পরেও আপনি যৌবনে কিছু ইঞ্চি হাইট বাড়াতে পারবেন। এ জন্য শরীরের ওপর কাজ করতে হবে। শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য কোনও কোনও জিনিস আপনাকে সহায়তা করতে পারে। আসুন সে বিষয়ে একটু জেনে নিই। তাহলে ঘরে বসেই আপনি আপনার উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি বাড়িয়ে নিতে পারবেন এবং বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনকে চমকে দিতে পারবেন।
১. সঠিক ব্যালান্স ডায়েট
ব্যালেন্স ডায়েট শরীরের ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। কী কী জিনিস খাবেন, তা জানিয়ে দেওয়া যাক। তাজা ফল , তাজা সবজি, শাক, প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, ডেয়ারি প্রোডাক্ট, ডিম, ফলিক অ্যাসিড যুক্ত খাবার, সি-ফুড।
কোন কোন জিনিস খাবেন না
চিনি, ট্রান্স ফ্যাট. বেশি ক্যালোরি। এছাড়া ক্যালসিয়াম ভিটামিন-ডি ওয়ালা ফটো খুব বেশি খাবেন। ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সহায়তা করে। শরীর সুস্থ থাকলে বাকি গ্রোথ ভালো হবে।
২. পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুমোনো বাচ্চা এবং যুবকদের লম্বা হতে সহায়তা করে। এর কারণ, যখন আপনি খুব গভীর ঘুমে থাকেন, শরীর সেই সমস্ত হরমোন রিলিজ করে। যা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এ জন্য পর্যাপ্ত ঘুমানো দরকার। তাহলে আপনি আজ থেকে এক ইঞ্চি পর্যন্ত ধরতে পারবেন। শুধুমাত্র সঠিক ঘুমের জন্য, কারণ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত না ঘুমাতে পারলে শরীরের নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ফ্যাটিগ তৈরি হয়। যা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতি করে।
বয়স অনুযায়ী কতটা ঘুমানো উচিত
৩ মাস বয়স পর্যন্ত নবজাতক শিশু দিনে ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুম দরকার।
৩ থেকে ১১ মাস পর্যন্ত শিশুদের ১২ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুম দরকার।
১ থেকে ২ বছর পর্যন্ত শিশুদের ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুম দরকার।
৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের ১০ থেকে ১৩ ঘন্টা ঘুমানো দরকার।
৬ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের ১১ ঘণ্টা ঘুমের দরকার।
১৪ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত ১০ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।
১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত ৯ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।
৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
৩. শরীরচর্চা
নিয়মিত এক্সারসাইজ শরীরের বিকাশ সবসময় ভালো রাখে। এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এটা যে উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। সঠিক এক্সেরসাইজ আপনার উচ্চতা কয়েক ইঞ্চি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। দিনে অন্তত এক ঘণ্টা এক্সারসাইজ করুন।
স্পট জাম্প, ওয়েট ট্রেনিং, ফ্লেক্সিবিলিটি এক্সারসাইজ, অ্যারোবিক এক্সারসাইজ।
৪. সাবধানতার সঙ্গে সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করুন
কিছু গ্রোথ বাড়ানোর ফুড সাপ্লিমেন্ট বাজারে পাওয়া যায়। সেগুলি সব সময় এন্তার খেয়ে নেওয়া উচিত নয়। সঠিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া এ ধরনের সাপ্লিমেন্ট প্রয়োগ করা অত্যন্ত অনুচিত। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে শরীরের কোনও খাদ্যগুণের অভাব থাকলে তা সাপ্লিমেন্ট দিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ দিয়ে পূরণ করা যেতে পারে। সব রকমের শরীরের জন্য সব রকম সাপ্লিমেন্ট নয়। তাই নিজেই বাজার থেকে কিনে তা সেবন করা উচিত নয়।
৫. যোগ অভ্যাস
যোগা, ফ্রি হ্যান্ড শরীরের নমনীয়তা এবং কমনীয়তা বৃদ্ধি করে। যোগ ব্যায়ামের দ্বারা কয়েক ইঞ্চি উচ্চতা বাড়ানো সম্ভব। তবে বিশেষজ্ঞের অধীনে তা করা উচিত।
(সতর্কতাঃ সমস্ত রিপোর্ট গবেষণা ভিত্তিক রিপোর্টের উপর নির্ভর করে করা। সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।)