These Habits Makes Husband Happy: করবা চৌথের দিন, মহিলারা তাদের স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে ব্রত পালন করেন। স্বামীকে খুশি করার জন্য সে নিজেকে সাজায়। সারাদিন ক্ষুধার্ত-তৃষ্ণার্ত স্ত্রীর এই ব্রত তাঁর জন্য দেখে স্বামীরাও খুশি হন। প্রত্যেক নারীই চায় তার স্বামী সুখী হোক এবং দুজনের মধ্যে সবসময় ভালোবাসা থাকুক। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমনিতে অনেক সময় ঝগড়া হলেও এসব ঝগড়া কখনো কখনো পারিবারিক কলহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি আপনার স্বামীকে খুশি রাখতে চান তবে সবসময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। এমন অনেক জিনিস এবং অভ্যাস আছে যা স্বামীকে খুশি করতে পারে।
স্বামীকে কীভাবে খুশি করা যায়
স্বামীর পছন্দ-অপছন্দের যত্ন নিন-
স্বামীর পছন্দ-অপছন্দের যত্ন নিন। কেউ যদি তার পছন্দের দিকে খেয়াল রাখে তবে যে কোনও ব্যক্তির ভাল লাগে। আপনি যদি চান যে সম্পর্কের মধ্যে সবসময় ভালবাসা বজায় থাকুক, তাহলে আপনার স্বামীর পছন্দের দিকে খেয়াল রাখুন। এতে লড়াই-ঝগড়া কমবে।
শ্বশুর- শাশুড়ির যত্ন নিন
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চায় যে সঙ্গী তাঁর বাবা-মায়েরও যত্ন নিক। ছেলে মেয়ে দুজনেরই এতে খুব ভালো লাগে। সেজন্য স্বামীরাও যারা শ্বশুর- শাশুড়ির সেবা করে সেই স্ত্রীদের ভালোবাসে। এতে স্বামীর মনে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে।
স্বামীকে সম্মান দিন
স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একে অপরকে সম্মান দেওয়া উচিত। এতে সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে এবং স্বামীও সবসময় খুশি থাকে। আপনার স্বামীর সঙ্গে শুধুমাত্র সম্মানজনক শব্দ ব্যবহার করুন। আপনার স্বামীর কথা শুনুন, সবসময় বাগড়া দেবেন না। পরে মতামত দিলেও ঝগড়া কম হবে এবং ভালোবাসা বজায় থাকবে।
অন্যের সঙ্গে স্বামীর তুলনা করবেন না
মহিলাদের অন্যের সাথে তুলনা করার অভ্যাস আছে। আপনি যদি সম্পর্কের মধ্যে ভালবাসা বজায় রাখতে চান তবে আপনার স্বামীকে অন্য মহিলার স্বামীর সঙ্গে তুলনা করবেন না। এই জিনিসটি আপনার স্বামীর হৃদয়ে আঘাত করতে পারে। এতে সম্পর্কের টানাপোড়েন ও লড়াই-ঝামেলা বাড়ে।
কারণ ছাড়া স্বামীকে সন্দেহ করবেন না
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আস্থার। তাই অকারণে স্বামীকে সন্দেহ করবেন না। এতে সম্পর্কের ফাটলের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আপনি যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে স্বামীও তাকে বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। আরেকটি বিশেষ জিনিস হল স্বামীকে কঠিন সময়ে সমর্থন করা। এতে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।