শরীরের ত্বকের মতো চুলের যত্ন নেওয়া দরকার। নিয়মিত চুল পরিষ্কার করা উচিত। কেউ কেউ মনে করেন, চুল পরিষ্কার করা মানে শ্যাম্পু করা। আসলে এখন ব্যস্ত জীবনে চুলের জন্য শ্যাম্পু ছাড়া অন্য কোনও উপায়ন্তর নেই। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে, সপ্তাহে কতবার চুল ধোয়া উচিত? প্রতিদিন চুল ধোয়া কি ঠিক নাকি সপ্তাহে একদিন চুল ধোয়া উচিত? প্রতিদিন চুল ধোয়ার ফলেও চুল পড়ে যায়। তাহলে কী করা উচিত?
সপ্তাহে কতবার চুল ধুতে হবে? চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, চুলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নির্ভর করে মানুষের জীবনযাত্রার উপর। সপ্তাহের প্রতি দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে চুল ধোয়া উচিত। কেউ যদি প্রচুর ঘামে, তাহলে তাঁকে ঘন ঘন চুল ধুতে হতে পারে। ঘাম, ধুলোবালি, ময়লার কারণে চুলের গোড়াও দুর্বল হয়ে পড়ে। চুল পড়তে পারে।
চুল কত দিন পর পর ধোয়া উচিত?
১। চুলে যদি চুলকানি বা মাথার ত্বকে চুলকানি হয়, তাহলে আপনি প্রতিদিন চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন।
২। যাঁরা হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তাঁরা ঘন ঘন চুল ধুতে পারেন।
৩। সপ্তাহে মাত্র দু'দিন সালফেট শ্যাম্পু বা হার্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে পারেন।
৪। খুশকি থাকা চুল ঘন ঘন ধোয়াই শ্রেয়।
চুল ধোয়ার সময় এই ভুলগুলি করবেন না
১। হার্ড শ্যাম্পু এড়িয়ে চলুন- অ্যান্টি ড্যান্ড্রাফ বা সালফেট শ্যাম্পু এড়িয়ে চলতে হবে। এতে চুলের ক্ষতি হতে পারে। এই সব শ্যাম্পুর ব্যবহার প্রাকৃতিক তেল ধ্বংস করে। সেজন্য সালফেট ফ্রি মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া উচিত। এটি চুলকে আর্দ্র রাখে।
২। গরম জল থেকে দূরত্ব- গরম জল দিয়ে চুল ধোয়া উচিত নয়। এতে চুল শুষ্ক ও জট লেগে যায়। চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। তাই গরম দল দিয়ে চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩। তোয়ালে দিয়ে ঘষবেন না- তোয়ালে দিয়ে জোরে চুল ঘষবেন না। এতে চুল ভেঙে যায়। চুল সবসময় নরম কাপড় বা নরম টি-শার্ট ব্যবহার করে শুকানো উচিত।
৪। কন্ডিশনার- কন্ডিশনার চুলের জন্য উপকারী। এর ব্যবহারে চুল জট মুক্ত হয়। চুলের আর্দ্রতাও বজায় থাকে। এতে চুল সিল্কি ও মসৃণ হয়। তাই কন্ডিশনার ব্যবহার নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না।