মন সব সময় ভাল থাকবে এমনটা নাও হতে পারে। কাজের চাপ, ব্যক্তিগত বিষয়, প্রিয়জনের সঙ্গে ঝগড়া, অতিরিক্ত চিন্তা, এইসব জিনিস মানসিক চাপ বাড়ায় আর সেখান থেকে মন খারাপ হওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে মন খারাপ বেশিদিন থাকলে তা শরীরের ওপরও বাজে প্রভাব ফেলে। অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন আপনি। তাই মন ভাল রাখতে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন এবং তা অনুসরণ করে দেখুন।
১) সহানুভূতিশীল বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে বেশি সময় কাটান। সহানুভূতিশীল মানুষ অন্যের কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনে। নিজের খারাপ লাগার কথাটি খুলে বলতে পারলে অনেক সময় মন হালকা হয়।
২) সাধ্যের অতিরিক্ত চাপ নিতে যাবেন না। অতিরিক্ত কাজের চাপ মন ও শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। সে কারণেও মন খারাপ হতে পারে। কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না।
৩) যেসব কাজ আপনাকে আনন্দ দেয়, মন খারাপের সময় সেসব কাজ বেশি করে করুন। আনন্দের কাজটিও করতে ‘ভালো লাগছে না’ মনে হলেও এক পর্যায়ে দেখবেন ভালো লাগতে শুরু করেছে। ছোটবেলার প্রিয় বইটি পড়ুন, পছন্দের মুভি দেখুন, রান্না করুন, পুরোনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে ফোনে গল্প করুন বা দেখা করুন, প্রকৃতির কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে যান— খারাপ লাগা দূর করার জন্য যা করা দরকার তাই করুন।
৪) ঘর থেকে বের হোন। দূরে কোথাও যেতে হবে তা নয়। বাজার করা, শপিংয়ে যাওয়া বা একটু হাঁটার জন্য হলেও বের হোন। দিনের আলো, নরম রোদ, তাজা বাতাস গায়ে লাগলে, ব্যস্ত দিনের ক্লান্তি দূর হয়। অল্প সময়ের জন্য হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন। বেশি না, ১৫-৩০ মিনিট হাঁটাও মন ও শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
৫) নেগেটিভ চিন্তা করা বাদ দিন। মাথায় কোনো পজিটিভ চিন্তা আসছে না আপনার জীবনে কী কী পজিটিভ ঘটনা ঘটেছে, তার একটি লিস্ট করুন। দেখবেন, মন ভালো লাগছে। নিজেকে বলুন, আপনি সব সময় খারাপ ছিলেন না। আবারও ভালো সময় আসবে।
৬) মন খারাপ থাকলে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। মন খারাপ থাকলে সাধারণত আমাদের আত্মবিশ্বাসও কমে যায়। এমন মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খেয়াল করুন যৌক্তিক ও স্বাভাবিক চিন্তা করতে পারছেন কিনা।
৭) মন খারাপ থাকলে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। মন খারাপ থাকলে সাধারণত আমাদের আত্মবিশ্বাসও কমে যায়। এমন মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খেয়াল করুন যৌক্তিক ও স্বাভাবিক চিন্তা করতে পারছেন কিনা।
৮) যদি প্রায়ই এবং দীর্ঘ সময় ধরে মন খারাপ থাকে তাহলে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলে কাউন্সেলিংও প্রয়োজন হতে পারে।