COVID-19 Cases: কীভাবে মাস্ক পরলে পাবেন সর্বাধিক সুরক্ষা, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

একই সময়ে, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের কিছু জেলায়ও মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দিল্লি সরকার পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে এবং লঙ্ঘনকারীদের ৫০০ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে। করোনার ক্রমবর্ধমান কেস দেখে মানুষ আবার মাস্ক পরতে শুরু করেছে, কিন্তু বাজারে এত রকমের মাস্ক রয়েছে যে তারা বিভ্রান্তিতে পড়ছেন যে করোনা থেকে বাঁচতে এখন কোন মাস্ক পরবেন? অথবা কোন মাস্ক করোনাভাইরাস থেকে ভালো সুরক্ষা দিতে পারে? তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন মাস্ক পরলে সর্বাধিক সুরক্ষা দেবে।

কেন মাস্ক পরা প্রয়োজন?

ডা. শুচিন বাজাজ, প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, উজালা সিগনাস গ্রুপ অফ হসপিটালসের মতে, মাস্ক পরা এবং মুখের কভার কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে পারে। যারা মাস্ক পরেন তারাও করোনা থেকে ভালো সুরক্ষা পান। করোনায় সংক্রমিত অনেক রোগীই সম্পূর্ণ অজ্ঞ যে তারা সংক্রমিত হয়েছে। এটি অনুমান করা হয় যে কোভিড-19-এ সংক্রামিত ৪০ শতাংশ মানুষের মধ্যে লক্ষণ দেখা যায় না। তবে তারা অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে। তাই মাস্ক পরা প্রত্যেকের সামাজিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়।

ডা. বাজাজ আরও বলেন, নতুন সংক্রমণ এবং এর বিস্তার রোধ করার জন্য কোভিড-উপযুক্ত আচরণ অনুসরণ করা উচিত। কারণ এই ভাইরাসের বিস্তার শুধুমাত্র প্রোটোকল মেনেই বন্ধ করা যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন, মাস্ক পরুন, সমস্ত কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করুন।

কীভাবে মাস্ক পরতে হয়

ডা. জিভকাটের মতে, N95 মাস্ক করোনা এড়াতে সর্বোত্তম সুরক্ষা প্রদান করে। আপনার যদি N95 মাস্ক না থাকে, তাহলে ডবল মাস্কিংও সাহায্য করতে পারে। শুধু নারী এবং পুরুষদের নয়, ছোট বাচ্চাদেরও মাস্ক পরা উচিত বা তাদের মাস্ক পরতে উৎসাহিত করা উচিত। শিশুদের অসুস্থ মানুষ থেকে দূরে রাখুন। আর যদি কারো করোনার উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে বৃদ্ধ ও শিশুদের থেকে দূরে রেখে বাড়িতে ভালো ফিটিং মাস্ক পরতে হবে।

জৈন মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের চেম্বুরের কনসাল্টিং ফিজিশিয়ান, ইনটেনসিভিস্ট এবং ইনফেকশন ডিজিজ বিশেষজ্ঞ ডক্টর বিক্রান্ত শাহের মতে, করোনা থেকে বাঁচতে, এমন মাস্ক ব্যবহার করা উচিত, যা শ্বাস না আটকে মুখ, নাক এবং চিবুক ঠিকভাবে ঢেকে রাখে। আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো মাস্ক কোনটি এবং কোন মাস্কের ফিটিং সবচেয়ে ভালো তা জানতে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নেওয়া যেতে পারে। মাস্ক পরার আগে ও পরে হাত ধুয়ে নিন। হাত ধোয়ার জন্য সাবান, হ্যান্ডওয়াশ বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

মাস্কের ধরন

সারা বিশ্বে সাধারণত ৩ ধরনের মাস্ক সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। N-95 মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক এবং কাপড়ের মাস্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি মুখোশই কোন না কোন কাপড় দিয়ে তৈরি হয়, কিন্তু এখানে আমরা সেই কাপড়ের উপাদান কী, অর্থাৎ কোন উপাদানের কাপড় দিয়ে মুখোশ তৈরি করা হয় তা নিয়ে কথা বলছি? তো চলুন মাস্কের ধরনগুলোও সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।

কাপড়ের মাস্ক

গত বছর, যখন বিশ্বজুড়ে N95 মাস্কের ঘাটতি ছিল, বিশেষজ্ঞরা কাপড়ের মাস্ক প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এ কারণেই সারাদেশের লোকেরা ঘরে বসে কাপড়ের মাস্ক পরতে শুরু করেছে যাতে ভাইরাসটি নাক ও মুখের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে আসতে না পারে এবং ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হওয়া এড়াতে পারে। জেনে নিন বাজারে কত ধরনের মাস্ক পাওয়া যায়।

সার্জিক্যাল মাস্ক

কিছুদিন আগে পর্যন্ত চিকিৎসকরা অপারেশন বা চিকিৎসার সময় সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতেন, কিন্তু করোনা মহামারীতে বিশেষজ্ঞরাও সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এগুলি কাপড়ের মাস্কের চেয়ে কিছুটা ভালো, তবে খুব বেশি সুরক্ষা দেয় না।

ফেসপিস মাস্ক ফিল্টারিং

ফিল্টারিং ফেসপিস মুখোশগুলি সাধারণত সেলুলোজ বা প্লাস্টিকের মতো শক্ত উপাদান দিয়ে তৈরি এবং একটি উচ্চ-মানের ফিল্টারিং স্তর থাকে, যা বিভিন্ন ভাইরাসকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। কিন্তু এগুলোও অনেক ধরনের। হিসাবে

FFP1: এগুলি ধুলার মতো মোটা কণা বন্ধ করতে সক্ষম এবং এগুলি কারখানায় ব্যবহৃত হয়। এগুলো সার্জিক্যাল মাস্কের চেয়ে ভালো, কিন্তু ভাইরাস প্রতিরোধে বেশি কার্যকর নয়।

FFP2: এই মাস্কগুলি হল N95 যা প্রায় 95% দূষিত কণাকে ব্লক বা ফিল্টার করতে পারে। কিছু দেশে তারা KN 95 বা P2 নামেও পরিচিত। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে N95 মাস্ক সার্জিক্যাল মাস্কের তুলনায় অন্তত 5 গুণ বেশি সুরক্ষা প্রদান করে।

FFP3: ভারতে এই মাস্কটিকে N99 বলা হয়, যা প্রায় 99% দূষিত কণাকে ফিল্টার করে। অনেক দেশে এটি EN149 বা P3 নামেও পরিচিত। এগুলিকে খুব কার্যকর বলে মনে করা হয় এবং এগুলি অ্যারোসল সহ ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।