How To Control Your Appetite: ভারতে অনেক লোক স্থূলতার কারণে সমস্যায় পড়েছেন। করোনা ভাইরাস মহামারিতে লকডাউন ও ঘরে বসে কাজ করার কারণে মানুষের ওজন দ্রুত বাড়লেও এখন তা কমার নামই নিচ্ছে না। রোগা হওয়ার জন্য, আমরা ওয়ার্কআউটের মাধ্যমে প্রচুর ঘাম ঝরাই, যার কারণে খিদে বেড়ে যায়, যা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ নয়।
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী খাবার
আজ আমরা এমন কিছু খাবারের কথা বলতে যাচ্ছি, যেগুলো খাওয়ার পর অনেকক্ষণ খিদে লাগে না এবং ওজন কমানো আপনার জন্য সহজ হয়ে যায়, কারণ স্থূলতা সরাসরি খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে জড়িত।
ডিম
আপনি যদি প্রতিদিন সকালের ব্রেকফাস্টে ডিম খান তবে দুপুর পর্যন্ত আপনার খিদে লাগবে না কারণ এটি ক্ষুধা বাড়ায় এমন হরমোনকে দুর্বল করে দেয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আপেল
বলা হয়ে থাকে যে আপনি যদি প্রতিদিন একটি করে আপেল খান তাহলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। এই ফলটি দ্রবণীয় ফাইবার এবং পেকটিন এর সমৃদ্ধ উৎস। এটি খেলে মস্তিষ্কে এই বার্তা পৌঁছে যায় যে পেট ভরে গেছে এবং আর কোনো খাবার খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ডার্ক চকোলেট
যদিও চকোলেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কারণ এতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি, কিন্তু আপনি যদি খাঁটি ডার্ক চকোলেট খান তবে পরবর্তী মিল পর্যন্ত আপনার খিদে লাগবে না।
দই
দইয়ের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত, এতে পাচক প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গরমে এটি খেলে পেট ঠান্ডা থাকে এবং হজমশক্তিও ভালো হয়। এটি একবার খেলে অনেকক্ষণ ক্ষুধা লাগে না।
চিয়া সিডস
মানুষ আজকাল চিয়া সিডস খেতে খুব পছন্দ করছে। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এতে ক্যালরির পরিমাণও খুব কম। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রতিদিন চিয়া সিডস খেতে পারেন, এতে দ্রুত ক্ষুধা লাগে না এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। অতএব, আপনাকে অবশ্যই ডায়েটে চিয়া সিডস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
প্লেট ভরে সালাড খান
যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন সালাড খাওয়া উচিত, সালাডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, এগুলো খেলে বারবার ক্ষুধা লাগে না। তাই প্রতিদিন প্লেট ভরে সালাড খান, বারবার ক্ষুধা লাগলে সালাড খেতে পারেন। এগুলো খেলে ক্ষুধাও মিটবে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।