Relationship Tips: বেশিরভাগ স্বামী–স্ত্রীর চেহারা 'ভাই-বোনে'র মতো লাগে কেন? মনোবিজ্ঞান বলছে কারণ

একসঙ্গে থাকতে থাকতে একই রকম দেখতে লাগে দম্পতিকে?
NCBI-তে প্রকাশিত এক গবেষণায় হেলথ ও রিটায়রমেন্ট সার্ভের তথ্যকে ব্যবহার করে এমন কিছু দম্পতির ওপর গবেষণা করা হয়েছিল, যাঁদের বয়সের ফারাক ১০ বছরের। এই পরীক্ষা ১২,৬৫২ জনের ওপর করা হয়। এই পরীক্ষা ১৯৯২ বা তার আগে করা বিবাহিত দম্পতিদের ওপর করা হয়েছিল এবং দ্বিতীয়বার ১৯৯৬ বা তারও পর ২০০০ সালে বিয়ে করা দম্পতিদের ওপর করা হয়। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যদি একজন পার্টনার নিজের ব্যবহারে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে আসে, তাহলে দ্বিতীয় সঙ্গীর মধ্যেও সেই বদল চলে আসার জোর সম্ভাবনা থাকে। মনোবিজ্ঞানের মতে, এইভাবে একটি কাপল ধীরে ধীরে একে-অপরের মতো দেখতে হয়ে যায়।মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সত্যকান্ত ত্রিবেদী বলেন, মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে অনেক ধরনের অনুমান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটির নাম ফেসিয়াল মিমিক্রি হাইপোথিসিস, যেখানে বলে যে স্বামী-স্ত্রী বারবার একে অপরের মুখের ভাব অনুকরণ করে, যা তাদের আবেগ প্রকাশের উপায়গুলিকে একই রকম করে তোলে। 

আবেগ যখন কাজ করে
যখন মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে একসাথে থাকে, তখন তারা একে অপরের আবেগ গ্রহণ করতে শুরু করে, যার কারণে তাদের মুখের ভাবের মধ্যে কিছুটা মিল থাকে। যা বাইরে থেকে অন্যের কাছে একই রকম দেখায়, ঠিক যেমন একসঙ্গে বেড়ে ওঠা ভাউ-বোনরা একই রকম অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। 

স্বামী-স্ত্রীর সাদৃশ্য
কিছু গবেষণায় এও বলা হয়েছে যে বেশিরভাগ মানুষ এমন জীবনসঙ্গী বেছে নেয় যার শারীরিক বৈশিষ্ট্য ইতিমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে মিল রয়েছে, যে কারণে সেই সাদৃশ্যগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও পরিণত হয়। 

সব সুখী দম্পতিকে কি একই রকম দেখতে?
১৯৮৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ২৫ ধরে একসঙ্গে থাকা দম্পতির মুখের বৈশিষ্ট্যগুলি খুবই একই রকম হয়। বিশেষ করে তাঁরা যখন সুখী দম্পতি। এটাকে কাপল ফেসিয়াল সিঙ্ক্রোনাইজেশন বা ম্যারেজ মর্ফিং এফেক্টও বলা যেতে পারে। এই বিষয়ে আর এক গবেষক জানিয়েছেন, যখন কেউ কারোর সঙ্গে থাকে, তখন সেই সঙ্গীর কিছু অভ্যাস অন্য সঙ্গী খুবই পছন্দ করতে শুরু করে, আর সেটা স্মৃতিতে স্থান পেয়ে যায়। অনেক সময় সেই অভ্যাসগুলো অনুকরণ করে তাঁরা। এটা অজান্তেই হয়। মুখের ভাব থেকে শুরু করে হাঁটার ধরণ, দীর্ঘ সময় ধরে একসঙ্গে থাকতে থাকতে এক সঙ্গীর সবকিছুই অন্যের মধ্যে প্রতিফলিত শুরু করে।