২১ জুন, বুধবার বিশ্ব যোগা দিবস। শরীর ও মনকে ফিট রাখতে যোগ ব্যায়ামের বিকল্প আর কিছুই নেই। যোগব্যায়ামের মাহাত্ম্যকে গোটা পৃথিবীর কোণে কোণে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। আর ভারতকে তো যোগের আখড়া বলা হয়। যুগ যুগ ধরে এই দেশে যোগাভ্যাসের চর্চা চলছে। সাধু-সন্ন্যাসীরা এই যোগাভ্যাস করেই সুস্থ থাকতেন। একাধিক ঘাতক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হল যোগচর্চা। নিয়মিত যাঁরা যোগভ্য়াস করেন তাঁরা জানেন যে এই অভ্যাসের ফলে তাঁদের জীবনে কতটা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু দিনের ঠিক কোন সময়ে যোগাভ্যাস করা উচিত, সে সম্পর্কে অনেকেরই সেরকম ধারণা নেই। আসুন সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
কোন সময়ে যোগাভ্যাস করা উচিত
অনেক যোগ বিশেষজ্ঞের কথায়, মূলতঃ দিনের দুটি সময়ে যোগভ্যাস করলে উপকার পাওয়া যাবে। প্রথমত, ভোরবেলা। সূর্য উদয় হওয়ার পর। আর নয়তো সূর্য অস্ত যাওয়ার সময়, অর্থাৎ সন্ধ্যাবেলায় যোগ করলে মিলবে উপকার। আসলে সকালবেলা মন থাকে একদম শান্ত, মাইন্ড থাকে ফ্রেশ। তাই এইসময় যোগা করাই সেরা বলে মনে করা হয়। ভোরবেলা যোগচর্চা করলে সারাদিন চাঙ্গা থাকে শরীরও। এদিকে উল্টো দিকে সন্ধেবেলায় শরীর অনেকটা নমনীয় হয়ে পড়ে। তাই কঠিন-জটিল ব্যায়াম করার পক্ষে এই সময়টা একদম আদর্শ।
একটা নির্দিষ্ট সময় রাখুন
অনেকে আবার এমনও রয়েছেন যাঁরা ভোর বা সন্ধ্যা কোনও সময়ই যোগব্যায়াম করার সময় পান না। তবে তাঁরা কী করে নিজেদের ফিট রাখবেন? এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলেন যে যদি রাত ৯টায় যোগব্যায়াম করেন তো পরের দিন ওই সময়ই যোগাভ্যাস করুন। একটা নির্দিষ্ট সময় ব্যায়াম করার সময় বজায় রাখুন। সময় বদল করলে লাভের বদলে ক্ষতির আশঙ্কাই রয়েছে।
খাওয়ার কতক্ষণ পর যোগব্যায়াম করা উচিত
বলা হয়, ভারী খাবার খাওয়ার ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর যোগব্যায়াম করা উচিত। নইলে খাবার হজমে সমস্যা হতে পারে। এমনকী শরীরে ক্লান্তি বাসা বাঁধতে পারে। তবে হালকা টিফিন খাওয়ার ৩০ মিনিট বাদে ব্যায়াম করা যায়। এতে বরং উপকারই মেলে। তবে যাঁরা ভোরবেলা উঠে শরীরচর্চা করছেন, তাঁরা খালিপেটে ব্যায়াম করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন।
নিয়মিত যোগ করলে পাওয়া যায় উপকার
নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে শরীর-মন চাঙ্গা থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত যোগভ্যাস করলে ডায়াবিটিস, হাই প্রেশার এবং কোলেস্টেরলের মতো একাধিক ক্রনিক অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যায়। সেই সঙ্গে ইমিউনিটিও বাড়বে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পাবে না। যোগের গুণে মানসিক চাপ যেমন কমে, মনও থাকে ফুরফুরে। তাই যোগব্যায়ামকে নিজের সঙ্গী বানিয়ে নিন আজ থেকেই।