কৃমি এক ধরনের পরজীবী প্রাণী। আর ভারতে যে ধরনের জলবায়ু তাতে কৃমির আধিক্য বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। শিশুদের মধ্যেই বেশি কৃমির সমস্যা দেখা দেয় এমন ধারণা ঠিক নয়। বড়দেরও হতে পারে কৃমির সমস্যা। আর কৃমির সমস্যা হলে পেট ব্যথা-সহ নানা ধরনের অসুখ হতে পারে। তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া দরকার। সাধারণত মলমূত্র, নখের ময়লা মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে কৃমি। পানীয় জল থেকেও হতে পারে কৃমির সংক্রমণ। কৃমির ওষুধও পাওয়া যায়। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে কৃমি কমাতে পারেন।
কৃমি হলে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। মলদ্বারে চুলকানি হয়। চুলকালে ঘা হতে পারে। পরে তা জটিল রোগে পরিণত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এছাড়া ঘন ঘন পেটে ব্যথা ও খিদে কমে যাওয়াও কৃমির লক্ষণ। শিশুদের ক্ষেত্রে কৃমি হলে কিছুক্ষণ পর পর থুতু ফেলতে দেখা যায়। কৃমি বাড়লে খিমচে দেওয়া এবং কামড়ে দেওয়ার মতো প্রবণতাও দেখা দেয়। আর মলের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে কৃমি।
কী কী খেলে কমে কৃমি-
অনেকে কৃমির ওষুধ খান। তবে সেই সমস্যা বারবার ফিরে আসে। তাই ওষুধ ছাড়াই কমান কৃমির সমস্যা। এককালে ঘরোয়া টোটকায় কমত কৃমি।
লবঙ্গ- লবঙ্গে রয়েছে জীবাণুনাশক উপদান। এক কাপ জলে ফুটিয়ে নিন তিন-চারটি লবঙ্গ। সেই জল সারাদিন খেতে থাকুন। লবঙ্গ ফোটানো জল কৃমি তো বটেই কৃমির ডিমও ধ্বংস করে।
নিমপাতা- কৃমি কমাতে অনেকেই বলেন তেতো খেতে। কয়েকটি নিমপাতা বেটে নিন। তার পর সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম জলে সেই বাটা মিশিয়ে খান। অথবা বাটা খেয়ে ইষদুষ্ণ গরম জল খেয়ে নিন। কৃমি নির্মূল হয়ে যাবে।
কুমড়োর বীজ- কয়েকটি কুমড়োর বীজ হালকা করে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এবার জল ও নারকেলের দুধের মধ্যে ভাজা কুমড়ো বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। সকালে খালি পেটে এই জল খান।
হলুদ- সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ বেটে রস খেলে কৃমি দূর হয়। এক চা-চামচ হলুদের রস ও ইষদুষ্ণ জল খেতে পারেন। এক সপ্তাহ টানা খেলে উপকার পাবেন।
আরও পড়ুন- গাঁটে গাঁটে ব্যথা? ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে যা যা খাবেন না