সামনেই জামাইষষ্ঠী। আর জামাই বাবাকে ভুরিভোজ খাওয়ানোর জন্য বাঙালির ঘরে ঘরে এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঙালির ঘরোয়া পার্বণের মধ্যে জামাইষষ্ঠী জনপ্রিয় এক পার্বণ। যেখানে মেয়ের মঙ্গল কামনা জামাইকে তুষ্ট করতে শাশুড়ি উপোস করে জামাই খাওয়ান। জামাইয়ের জন্য পঞ্চব্যাঞ্জন রান্না করলেই তো আর হল না, সেই খাবার যদি জামাই বাবাজি খেতেই না পারেন তবে আর গলগ ঘর্ম হয়ে রান্না করে লাভ কী।
ডায়াবেটিস জামাইরা কী খাবেন
আসলে এখন ডায়াবেটিস কিন্তু ঘরে ঘরে। ডায়াবেটিস মানেই খাওয়া-দাওয়ার ওপর বহু বাধা-নিষেধ রয়েছে। ডায়াবেটিক জামাই যাতে খেতে পারেন সেই অনুযায়ী রান্নাবান্না করতে হবে। আর তারই হদিশ দিলেন পুষ্টিবিদেরা। জামাইষষ্ঠীর দিন যাতে ডায়াবেটিক জামাইরাও এইদিনে পেটপুরে খেতে পারেন, সেটাই জানিয়েছেন তাঁরা।
ডাবের জল দিয়ে শুরু করুন
জামাই আসার সঙ্গে সঙ্গে নরম পানীয় বা অন্য কোনও ফলের জুস না দিয়ে ডাবের জল দিন। এতে পেট ঠান্ডা থাকবে আর এটা শরীরকে হাইড্রেটও করে।
সব ফল দেবেন না
ডায়াবেটিক রোগীরা সব ফল খেতে পারেন না। তাই কোন কোন ফল দেওযা যাবে তা চিকিৎসক বা কোনও পুষ্টিবিদদের সঙ্গে আলোচনা করেই দেওয়া উচিত। তবে শশা, নাসপাতি, স্ট্রবেরী এই ধরনের ফল দিতে পারেন। ভুলেও আমা-কলা-লিচু দেবেন না।
দুপুরের থালা সাজান এভাবে
জামাইষষ্ঠী বলে জামাইকে যে প্রচুর পরিমাণে খাওয়াতে হবে সেটা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং তাঁর শরীরের কথা ভেবে তাঁকে খেতে দিন। দুপুরে ৩০ গ্রাম চালের ভাত বা পোলাও, ২টি তাওয়া ভেটকি বা যে কোনও ধরনের গ্রিল ফিস, সঙ্গে স্যালাড আর সেদ্ধ সবজি পরিবেশন করতে পারেন। আর কোনও ভাজা জামাইয়ের পাতে দেবেন না। জামাই মটন খেতে পছন্দ করলে বানাতে পারেন তবে ২ পিসের বেশি দেবেন না। ডায়াবিটিস থাকলেও জামাইষষ্ঠী চাটনি-মিষ্ঠি ছাড়া অসম্পূর্ণ। কাঁচা আমের চাটনি তৈরি করুন, তবে তাতে সুগার ফ্রি দিন। আর শেষপাতে দোকানের মিষ্টি না দিয়ে, বাড়িতেই সুগার ফ্রি দিয়ে মিষ্টি তৈরি করে দিতে পারেন।