Advertisement

Janmashtami Bhog: জন্মাষ্টমীতে নির্জলা উপোসের পর লুচি-তালের বড়া খেলেই বিপদ, বদলে কী খাবেন?

জন্মাষ্টমীতে মধ্যরাতে কৃষ্ণের পুজো করার জন্য ঘরে ঘরে মা-ঠাকুমারা নির্জলা উপোস করেন। এদিকে, জন্মাষ্টমী মানেই বাড়িতে রান্না হচ্ছে লুচি, পায়েস, তালের বড়া। কিন্তু সাবধান, ভুলেও উপোস ভাঙার পর এসব খাবেন না। তাহলেই ডেকে আনবেন বিপদ। বদলে কী খাবেন?

জন্মাষ্টমীর ভোগ জন্মাষ্টমীর ভোগ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 16 Aug 2025,
  • अपडेटेड 2:31 PM IST
  • জন্মাষ্টমীতে মা-ঠাকুরমাদের নির্জলা উপোস
  • বাড়িতে রাঁধা হচ্ছে লুচি-পায়েস
  • উপোস ভাঙার পর কী খাবেন?

মধ্যরাতে গোপালের পুজো দেবেন নিষ্ঠাভরে। তাই দিনভর নির্জলা উপোস? ভয় পাচ্ছেন, এই বুঝি গ্যাস-অ্যাসিডিটি হয়! সকাল থেকে খালি পেটে থেকেও কীভাবে দিনভর সুস্থ থাকবেন? রইল টোটকা। 

জন্মাষ্টমী মানেই বাড়ির মা-ঠাকুমারা উপোস করে পুজো দেবেন গোপালের। কিন্তু প্রবীণরা আজকাল ঘরে ঘরে সুগার, প্রেশার কিংবা গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগেন। তার মধ্যে নির্জলা থাকলে অসুখ অবধারিত। ফলে কীভাবে শরীর ঠিক রেখে নির্জলা উপোস রাখবেন, তা নিয়েই চলছে জল্পনা। 

পুষ্টিবিদরা বলছেন, উপোস করলে তরল খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। নির্জলা উপোস অবশ্য না করারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগলে নির্জলা উপোসে রক্তচাপ ওঠানামা করতে পারে। তবে উপোস করে দিনভর ডাবের জল, লস্যি কিংবা লেবুর জল খেয়ে দিনভর সুস্থ থাকা যায়। 

উপোস করেও দিনভর সুস্থ থাকার টোটকা
>  ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য সৈন্ধব লবণ ও আধখানা লেবুর রস দিয়ে খেলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে। 
> অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে উপোস করাকালীন ঈষদুষ্ণ জলে  মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
> ফলের রস, ঘোল, শরবতের মতো তরল সারা দিন ধরে খেতে হবে। ডাবের জল বা বেলের পানা খেলে ভাল।
> উপোস করলেও ওষুধ বাদ দেওয়া যাবে না। রোজের যা যা ওষুধ খান, তা খেতেই হবে। 

ডিহাইড্রেশন এড়াতে কী করবেন?
উপোস করলে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা দেয়, তা হল ডিহাইড্রেশন। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে তরল খাবার খেয়ে যেতে হবে। যাতে শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে না যায়। 

উপোস ভাঙার পর কী খাবেন?
উপোস ভাঙার পর খিদে মরে যায়, এমনটাই বলেন মা-ঠাকুমারা। তবে  কিছু না কিছু অবশ্যই মুখে দিতে হবে। 
> উপোসের পর ভাজাভুজি, বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার খাবেন না।
> জন্মাষ্টমীর দিন লুচি, তালের বড়া, পায়েস বাড়িতে হবেই। এই সব বেশি পরিমাণে খেতে শুরু করলে ক্যালোরির মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। লুচি খেতে হলে একটা খান। তালের বড়া একটি বা দু’টি, পায়েস খেলে এক চামচ।
> খেজুর, কলা জাতীয় ফল খেয়ে উপোস ভাঙতে পারেন। 
>  খাবারের তালিকায় নারকেল, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, আখরোটও রাখতে পারেন।
> আপেল, কলা, নাশপাতি, বেদানা, পেয়ারা জাতীয় ফল খেতে পারেন। টক জাতীয় ফল না খাওয়াই ভাল।
> সাবুর সঙ্গে কলা ও কিছু ফল মিশিয়ে নিন। তা হলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। 
> প্যানে সামান্য ঘি দিয়ে ওটস, দুধ এবং শুকনো ফল দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ক্ষীর। 
> কলা, দই, আখরোট ও মধু মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন।

Advertisement


 

Read more!
Advertisement
Advertisement