
চুলের যত্নের রীতি অঞ্চলভেদে যেমন পরিবর্তিত হয়, তেমনই দেশভেদেও তা ভিন্ন। কিন্তু জাপানি চুলের যত্নের পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জাপানে চুলের যত্ন কেবল সৌন্দর্যের অংশ নয়, বরং এটি মাথার ত্বকের গভীর যত্ন ও মানসিক প্রশান্তির এক সুনিপুণ রীতি। জাপানে প্রশিক্ষিত হেয়ার স্টাইলিস্ট মারিয়া রবার্টস জানিয়েছেন, জাপানিদের এই বিশেষ অভ্যাসই তাদের চুলকে করে তোলে ঘন, মসৃণ ও উজ্জ্বল।
নিচে রইল সেই তিনটি অনন্য জাপানি পদ্ধতি, যা তাদের চুলকে রাখে সুস্থ ও সুন্দর
১. মাথার ত্বকে বিশেষ ম্যাসাজ পদ্ধতি
জাপানিরা চুল ধোয়ার সময় মাথার ত্বকের ম্যাসাজকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। তারা সাধারণত দুটি সিলিকন ব্রাশ ব্যবহার করেন শ্যাম্পু করার সময়, যা মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং গভীরভাবে পরিষ্কার করে। ম্যাসাজটি করা হয় মাথার পেছন দিক থেকে উপরের দিকে, কারণ এই অংশে স্নায়ু প্রান্ত বেশি থাকে। এই প্রক্রিয়া শুধু চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে না, বরং মাথার ত্বকে চাপ ও ক্লান্তিও দূর করে।
২. শ্যাম্পুর আগে তেল লাগানোর অভ্যাস
জাপানি চুলের যত্নের অন্যতম মূল রহস্য হলো শ্যাম্পু করার আগে তেল লাগানো। এটি মাথার ত্বকের pH ভারসাম্য রক্ষা করে, গোড়ায় পুষ্টি জোগায় এবং চুল দীর্ঘ সময় পরিষ্কার রাখে। প্রাচীনকালে জাপানের গেইশা নারীরা ক্যামেলিয়া তেল (Camellia Oil) ব্যবহার করতেন, যা আজও চুলের উজ্জ্বলতা ও নরমভাব বজায় রাখতে কার্যকর।
৩. চুল শুকানোর কোমল জাপানি কৌশল
চুল শুকনোর ক্ষেত্রেও জাপানিরা বিশেষ যত্ন নেন। তারা কখনোই তোয়ালে দিয়ে চুল ঘষে শুকান না; বরং মাইক্রোফাইবার তোয়ালে বা নরম সুতির টি-শার্ট দিয়ে আলতো করে আর্দ্রতা মুছে নেন। এতে চুলের কোঁকড়াভাব ও ভাঙন কমে। এরপর ব্লো ড্রায়ার ব্যবহারের আগে তারা চুলের ৭০ শতাংশ জল শুকিয়ে নেন, যা চুলকে রাখে স্বাস্থ্যকর, নরম ও ঝলমলে।