
সুন্দর- মজবুত- এক ঢাল চুল কম- বেশি প্রায় সকলেই চায়। দামি তেল, শ্যাম্পু, বাজারজাত নানা পণ্য লাগানোর পাশাপাশি অনেক ঘরোয়া প্রতিকারও করেন অনেকেই। চুলের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি স্থানভেদে ভিন্ন। চুলের যত্নের পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। জাপানও চুলের যত্নের জন্য একটি অনন্য পদ্ধতি মেনে চলে।
জাপানে, চুলের যত্ন কেবল একটি সৌন্দর্যের রুটিন নয়। এটি স্ক্যাল্পের যত্নের রীতিও। জাপানে চুলের চিকিৎসায় প্রশিক্ষিত হেয়ার স্টাইলিস্ট মারিয়া রবার্টস একটি সাক্ষাৎকারে ব্যাখ্যা করেছেন, জাপানিরা কীভাবে তাদের চুলের যত্ন নেয়, যার ফলে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়। জানুন কোন কোন পদ্ধতি মানলে।
ম্যাসাজের পদ্ধতি
মারিয়া রবার্টস ব্যাখ্যা করেছেন, জাপানিরা তাদের চুল ধোয়ার প্রক্রিয়াটি খুব যত্ন সহকারে করে। শ্যাম্পু করার সময় তারা শুধুমাত্র একটি নয়, দুটি সিলিকন ম্যাসাজ ব্রাশ ব্যবহার করে। এটি স্ক্যাল্পের ম্যাসাজের প্রভাব বাড়ায়, গভীরভাবে পরিষ্কার করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। মাথার পেছন থেকে উপরের অংশ পর্যন্ত ম্যাসাজ করা উচিত, কারণ এই অংশে সবচেয়ে বেশি স্নায়ু প্রান্ত থাকে। এই পদ্ধতি চুলের বৃদ্ধি করানোর পাশাপাশি মাথার ত্বকের উপর চাপও কমায়।
শ্যাম্পুর আগে তেল
জাপানি হেয়ারকেয়ারে সবচেয়ে বড় রহস্য হল তারা শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল দেয় এবং তারপর ধুয়ে ফেলে। শ্যাম্পু করার আগে তেল মাখলে মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকে, চুল দীর্ঘক্ষণ পরিষ্কার থাকে এবং গোড়ায় পুষ্টি যোগায়। বলা হয় যে সেখানকার মহিলারা তাদের চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ক্যামেলিয়া তেল ব্যবহার করতেন।
জাপানি চুল শুকানোর পদ্ধতি
জাপানি বিউটি রুটিনের আরও একটি আকর্ষণীয় দিক হল তাদের চুল শুকানোর অনন্য পদ্ধতি। জাপানি মহিলারা তাদের চুল আলতো করে এবং না ঘষে শুকায়। মহিলারা চুল মসৃণ করার জন্য সুপার-শোষক মাইক্রোফাইবার তোয়ালে বা নরম সুতির টি-শার্ট ব্যবহার করেন যাতে কুঁচকে যাওয়া কম হয় এবং গোড়া ফাটা রোধ হয়। তারা ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করার আগে তোয়ালে দিয়ে তাদের চুলের ৭০ শতাংশ আর্দ্রতা দূর করে, যা চুলকে স্বাস্থ্যকর এবং মসৃণ করে।