সূর্যের প্রথম আলো জানালার ফাঁক গলে ঘরে ঢুকছে। ঠিক তখনই আমরা দাঁড়িয়ে যাই এক স্বাস্থ্যকর দ্বিধার সামনে, সকালের শুরুটা জিরে জল দিয়ে করব, নাকি জিরে জল দিয়ে? আধুনিক ‘কম্বুচা’ বা ‘ম্যাচা’-র আগে থেকেই ভারতীয় রান্নাঘরের এই দুই মশলা স্বাস্থ্যরক্ষার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। কিন্তু কোনটি ভালো?
কেন সকালে এই মশলাযুক্ত জল?
ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরকে ধীরে ধীরে সক্রিয় করে তুলতে সাহায্য করে উষ্ণ বা হালকা কুসুম গরম জল। এর সঙ্গে জিরে বা মৌরি মেশালে হজম ক্ষমতা বাড়ে, বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, আর মেটাবলিজম বাড়ে, ফলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত হয়।
জিরে জল: হজমে সহায়ক, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
ডায়েটিশিয়ান শ্রেয়া সিং জানাচ্ছেন, “জিরে জলের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে এটি হজম রস তৈরি করতে সাহায্য করে।” নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যা ও পেট ফাঁপার মতো অসুবিধা কমে।
এছাড়া: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি হ্রাস করে। বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জিরে জল বিশেষভাবে উপকারী বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।
জিরে জল: শান্তিদায়ক ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়কজিরে বা মৌরি জল মূলত অন্ত্রকে শান্ত রাখে। এতে আছে: হজমে সহায়ক এনজাইম, শীতল ও স্নিগ্ধ প্রভাব, খিদে কমানোর ক্ষমতা, মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য
তবে গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের জিরে জল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোনটি বেছে নেবেন?
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ও প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের। কোলেস্টেরল বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগলে জিরে জল ভালো। অন্ত্রের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে জিরে জল উপযুক্ত।