Health Benefits Of Pulses: স্বাস্থ্যকর জীবনধারা পেতে হলে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে ধরনের খাবার খাই, যেভাবে খাই এবং যে পরিমাণ খাই তার ওপর নির্ভর করে শরীর কতটা সুস্থ থাকবে। ডাল শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডাল ভারতীয়দের কাছে অপরিহার্য খাবারের মধ্যে একটি।
পুষ্টিতে ভরপুর এবং স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে ডাল (Pulses)। ডাল অনেক প্রকারের হয়, প্রতিটি ডালের নিজস্ব বিশেষত্ব রয়েছে। তুর, ছোলা, মসুর ডাল (Masoor Dal), রাজমা (Rajma), মটর এবং উরদের মতো অনেক ডাল রয়েছে। ডালে ফাইবার, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং পটাসিয়াম পাওয়া যায়। এই সব পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে এগুলি খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ যা হজমে সাহায্য করে।
যে কোনও ডাল খাওয়ার সময়, আমাদের অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে, তাহলে বেশি পুষ্টিগুণ পাবেন। যেমন-
ডাল রান্নার আগে ভিজিয়ে রাখুন- ডালে প্রোটিন, ভিটামিনের মতো খনিজ উপাদান থাকে, এ ছাড়াও এতে কিছু অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট (অর্থাৎ অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট) থাকে। অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট হল এমন পুষ্টি যা আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির শোষণকে কমিয়ে দেয় এবং খাবারের পুষ্টির মান কমিয়ে দেয়। যে কারণে ডাল খেলে বদহজম, গ্যাস ও পেট ব্যথার সমস্যায় পড়তে হয় অনেককেই। তাই, রান্নার আগে ডাল ভিজিয়ে রাখলে তা অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টের প্রভাব কমায় এবং পুষ্টির প্রভাব বাড়াতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন ধরনের ডাল খান- ভারতে প্রায় ৬৫ হাজার জাতের ডাল পাওয়া যায়। সপ্তাহে অন্তত ৫টি বিভিন্ন ধরনের ডাল বিভিন্ন উপায়ে খেতে হবে। ডাল থেকে তৈরি বিভিন্ন জিনিসও খেতে পারেন, যেমন দোসা, পাঁপড়, লাড্ডু বা হালুয়া ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের ডাল খাওয়া স্বাস্থ্যের ওপর ভালো প্রভাব ফেলে।
ডাল খেলে হাড় মজবুত হয়। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া ডালের এই মিশ্রণের কারণে শরীরে দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এর পাশাপাশি ডাল মিশিয়ে খেলে বার্ধক্য কমানো যায়।