Advertisement

কিডনির রোগী? সুস্বাদু হলেও এই খাবারগুলি থেকে বিরত থাকুন

কিডনির রোগীরা ভুলেও খাবেন না এগুলি, হতে পারে মারাত্মক বিপদ। জেনে রাখুন, আজই খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে কোন খাবারগুলি।

কিডনির রোগ হলে খাবেন না এগুলিকিডনির রোগ হলে খাবেন না এগুলি
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 10 Mar 2022,
  • अपडेटेड 3:12 PM IST
  • কিডনির রোগীরা ভুলেও খাবেন না
  • হতে পারে মারাত্মক বিপদ
  • কোন খাবারগুলি খাবেন না

শরীরের ফাংশন ঠিক রাখার জন্য কিডনির ঠিক থাকা অত্যন্ত জরুরি। রক্ত পরিষ্কার রাখতে, পরিশোধিত রাখতে শরীর থেকে অবশিষ্ট আবর্জনা সরাতে ভারসাম্য ঠিক রাখতে খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখতে কিডনি নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। কিডনির রোগ এর বেশ কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় এবং হাই ব্লাড প্রেসার, হৃদরোগ, হেপাটাইটিস সি' এবং এইচআইভি কিডনির রোগের কারণ হতে পারে। যখন কিডনি খারাপ হয়ে যায়, তখন ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। তখন এর কারণে রক্ত অপরিশোধিত বর্জ্য পদার্থ বের হতে পারে না। তা জমা হতে থাকে। খাওয়া-দাওয়া সহ বেশ কিছু জিনিসে নজর রেখে এবং সাবধানতা অবলম্বন করে কিডনির ফাংশন ঠিক করা যেতে পারে। কিডনির রোগের থেকে বাঁচতে হলে কিছু জিনিস মাথায় রাখা উচিত।

কমলালেবু এবং কমলালেবুর জুস

কমলা লেবুতে ভিটামিন C থাকে। একটা বড় কমলালেবুতে ৩৩৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। সেখানে এক কাপ কমলালেবুর জুস-এ ৪৭৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পাওয়া যায়। এই পটাশিয়ামের মাত্রা দেখে কিডনি রোগীরা যাতে কোনও রকম কমলা না খান সে বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়। এর বদলে আঙ্গুর, আপেল এবং ক্র্যানবেরি খেতে পারেন বা র জুস পান করতে পারেন। এতে পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকে।

আরও পড়ুন

আচার এবং চাটনি

আচার-চাটনিতে খুব বেশি লবণ থাকে। আচার বানানোর সময় খুব বেশি মাত্রায় সোডিয়াম ব্যবহার করা হয়। এটি শরীরে খুব বেশি ক্ষতি করে। বিশেষ করে কিডনি রোগীরা আচার এবং তিনি একেবারেই না খেলে সবচেয়ে ভালো হয়।

আলু এবং মিষ্টি আলু

একটা মিডিয়াম সাইজের আলুতে ৬১০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। যেখানে একটা মিষ্টি আলুতে ৫৪১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। আলুর ছোট পাতলা করে কেটে খেলেও তাতে ১০ মিনিট পর্যন্ত ফোটালে পটাশিয়ামের মাত্রা ৫০% কম হয়ে যায়। খাওয়ার রান্না করার সময়, কম সে কম চার ঘন্টার জন্য আলু জলে ভিজিয়ে রাখলে পটাশিয়ামের মাত্রা কমতে থাকে।

Advertisement

কলা

কলায় পটাশিয়াম বেশি মাত্রায় থাকে। যেখানে সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে। ১ মিডিয়াম সাইজ ৪২২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। সেখানে আপনার কিডনির সঙ্গে জড়িত কোনও রকম সমস্যা থাকলে, আপনি পটাশিয়াম সেবন করেন. বেশিরভাগ পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। সে কারণে কিন্তু একমাত্র আনারসের পটাশিয়াম থাকে এ কারণে আপনি খেতে পারেন।

ডেইরি প্রোডাক্টস

বিভিন্ন রকমের ভিটামিন, পোষক তত্ত্বতে ভরপুর থাকে এটি। ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং প্রোটিনের ন্যাচারাল সোর্স। প্রয়োজনের বেশি মাত্রায় এটি সেবন করলে কিডনি রোগীর হাড়ের ক্ষতি করতে পারে। যখন কিডনি খারাপ হয়ে যায়, তখন রক্তে ফসফরাস বেশি মাত্রায় তৈরি হতে শুরু করলে হাড়, ক্যালসিয়াম টেনে নিতে শুরু করে। এ কারণে পাতলা এবং দুর্বলতা দেখা দেয়। এরপর হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

কালো রংয়ের সোডা বা কোলা 

কালো সোডা বা কোলাতে ক্যালোরি এবং চিনি থাকে। প্রিজারভেটিভ তৈররি জন্য ফসফরাসের ব্যবহার করা হয়। ন্যাচারাল এর তুলনায় এভাবে ফসফরাস অধিকমাত্রায় অবশেষে থাকে। তাই ডার্ক কোলা এড়িয়ে থাকতে হবে।

ক্যানড ফুড

ক্যানজাত খাবার দাবারের জিনিস, সবজি-মাংস মিষ্টি দুধগুলো যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। এগুলোকে সোডিয়াম অনেক বেশি মাত্রায় থাকে। কারণ এটি ব্যবহার করা হয়। ক্যানজাত খাবার তাই নিয়মিত খেতে থাকলে কিডনি দুর্বল হতে শুরু করে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement