গত কয়েক বছর ধরে ছবি তোলার ট্রেন্ড বা হুজুগ অনেক বেড়েছে। সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া। নেটমাধ্যমের সাহায্য অনেকে মুহূর্ত রেখে দিতে চান। আবার অনেকের সকলের সঙ্গে শেয়ার করাতেই আনন্দ। কার ছবি কত ভাল, কিংবা কার ছবিতে কত বেশি- রিয়েকশন-কমেন্ট, এটা নিয়ে একটা অঘোষিত প্রতিযোগীতা চলতে থাকে।
ফটোগ্রাফাররা শহরের নানা স্থান খুঁজতে থাকেন, যেখানে ফ্রেমটা আরও সুন্দর হবে। কলকাতায় এরকম অনেক সুন্দর স্থান রয়েছে। উওর হোক কিংবা দক্ষিণ, কলকাতার বিশেষ কিছু স্থানে লেন্সবন্দী করা মুহূর্ত আরও সুন্দর হয়। রইল কলকাতার অন্য়তম কিছু জায়গা, যেখানে আপনার ফটোগ্রাফির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে।
হাওরা ব্রীজ
ঠিক কলকাতার পাশেই অবস্থিত এই হাওরা ব্রীজ, এক অন্য়তম জায়গা ফোটোগ্রাফির জন্য়ে। এটি হুগলি নদীর উপরেই অবস্থিত। এখানে ছবি তোলার এক আলাদাই শান্তি। তবে দিনের বেলায় হাওরা ব্রীজ প্রচন্ড ব্য়স্ত থাকে। সূর্যাস্ত অথবা ঠিক সন্ধ্য়াবেলা হল আদর্শ সময় ছবি তোলার। একজন ফোটোগ্রাফার হিসাবে এই জায়গায় যদি না গিয়ে থাকেন, তবে অনেক ভাল ছবি হাতছাড়া করছেন।
শোভাবাজার
পুরনো সব জিনিসের স্বাদ এই এলাকায় পাওয়া যায়। যেন গোটা উওর কলকাতা আটকে রয়েছে এখানে যা, মন্ত্রমুগ্ধ করে তোলে। পুরেনো বাড়ি, হলুদ ট্য়াক্সি ছবির কোনও অভাব হবে না। শুধু চোখ খোলা রাখতে হবে। এছাড়া ভাল ছবির জন্য চলে যেতে পারেন শোভাবাজার রাজবাড়িতে।
কলেজ স্ট্রিট
কলকাতার বই পাড়া বলে জানা যায় কলেজ স্ট্রিটকে। কলকাতার এক অন্য়তম ঐতিহাসিক জায়গা এটি। প্রতিটি কোনায় বইয়ের দোকান পেয়ে যাবেন। এখানেই রয়েছে সেই বিখ্য়াত কফি হাউস। শোনা যায়, সত্য়জিৎ রায় এবং মৃণাল সেনের মতো চলচ্চিত্র নির্মাতাদেরও পছন্দের জায়গা ছিল এটি। এখানেই রয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজ। যা এখন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি নামে পরিচিত। সাবেকি উত্তর কলকাতার ফ্লেবার পাওয়ার এটাই সেরা ঠিকানা। এখানকার অলিগলি, হাতে টানা রিক্সার সামনে ছবি না তুললে মিস।
ময়দান
ভোরবেলা বা পরন্ত বিকেলে ময়দান ছবি তোলার জন্য সেরা সময়। এখানে বসে বাদামভাজা, ঘুগনি, চা কিংবা আইসক্রিম খেতে খেতে দেখা যায়। একদিকে যেমন ছেলেরা ময়দানে খেলে, অন্যদিকে বন্ধু- বান্ধব কিংবা মনের মানুষের সঙ্গে ভাল সময় কাটাতে দেখা যায় বহু শহরবাসীকে। ময়দানের পাশেই রয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। একটু হেঁটে গেলেই রয়েছে এসপ্ল্য়ানেড। এছাড়া ময়দান থেকে একটু এগিয়ে গেলেই দেখা যায় কলকাতার সবথেকে উঁচু বিল্ডিং ৪২।
কুমোরটুলি
এই জায়গাটি প্রতিমা তৈরির জন্য়ে বিখ্য়াত। কুমোরটুলি বা পটুয়াপাড়াকে প্রতিমা তৈরির আঁতুড়ঘর বলা হয়। একটু হেঁটে গেলেই রয়েছে কুমোরটুলি ঘাট। যারা শিল্প পছন্দ করেন, তাদের জন্য়ে এই জায়গাটি গুপ্তধনের থেকে কম কিছু না। যদিও বর্তমানে কুমোরটুলিতে ভ্লগার বা চিত্রগ্রাহকদের ভিড় দেখা যায়। তবে আপনি যদি যান একেবারে সেরা ছবি তুলতে, তাহলে কুমোরটুলিতে যেতেই পারেন।