সোমবার রাতভর বৃষ্টির পর শহরজুড়ে শুধুই জমা জল। মঙ্গলবার গোটা শহর ভেসেছে জলে। আর এই জল পেরিয়ে পেরিয়ে মানুষজনকে যেতে হচ্ছে যে যার কাজে-কর্মে। জমা জলে পা ভিজলে সেখান থেকে ইনফেকশন হতেই পারে। আবার অনেকের আগে থেকেই ত্বকের সমস্যা থাকলে, সেক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বাড়বে বই কমবে না। তবে পায়ের সংক্রমণ এড়াতে চাইলে এভাবে যত্ন করতে হবে।
পদ্ধতি ১
এখন বেশ কিছুদিন এই জমা জলের দুর্ভোগে ভুগতে হবে সাধারণ মানুষদের। তাই প্রথমেই যেটা করবেন তা হল জল ঠেলে বাড়ি ফিরে সবার আগে ভালভাবে সাবান দিয়ে পা পরিষ্কার করে নিতে হবে। এটা কিন্তু না করলে সমস্যা আরও বাড়বে। এরপর গরম জলের মধ্যে সামান্য নুন দিয়ে অন্তত মিনিট ১০-১৫ পা ডুবিয়ে রাখুন। এর ফলে ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হবে। পায়ে ব্যথা থাকলে সেটাও কমবে। আরাম পাবেন। সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
পদ্ধতি ২
গরম জলে লিকুইড শ্যাম্পু বা সাবান ফেলেও পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন। এতেও পা পরিষ্কার হয় অনেকটাই। জমা জলে পা দিলে বাড়ি ফিরে অবশ্যই পায়ে ভালভাবে সাবান দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষত আঙুলের ফাঁকের অংশ সাফ করতে হবে। পা পরিষ্কার হয়ে গেলে ভালভাবে জল মুছে নিতে হবে। পায়ের জল একদম শুকনো করে মুছে না নিলে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। পা পরিষ্কারের পর ধুয়ে নেওয়ার সময় খেয়াল রাখুন আঙুলের ফাঁকে জমা সাবান যেন দূর হয়। ওই অংশের জলও শুকনো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
পদ্ধতি ৩
সামনেই পুজো আর এই সময় যদি অতিরিক্ত যত্ন করতে চান পায়ের তাহলে ঈষদুষ্ণ জলে শ্যাম্পু মিশিয়ে কিছু ক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন। শ্যাম্পু ছাড়াও মেশাতে পারেন মধু। মধু পায়ের ত্বককে নরম রাখবে। জলের গামলায় পা ডোবানোর আগে রিমুভার দিয়ে পায়ের নখ থেকে নেলপলিশ তুলে ফেলতে হবে। বেশ কিছু ক্ষণ পা জলে ডুবিয়ে রাখার পর, ভাল মানের কোনও স্ক্রাব দিয়ে পায়ের পাতা ঘষে নিন। এতে পায়ের মৃত কোষ উঠে যাবে। পায়ে যদি ট্যান থাকে, তা-ও দূর হবে।
পদ্ধতি ৪
কোনও ভাল ঘরোয়া প্যাক তৈরি করে পায়ে লাগাতে পারেন। সেক্ষেত্রে হলুদ, বেসন, টক দই, মধু দিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন আবার বেসন ও টক দই শুধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন। কফি দিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। এগুলো পায়ের ট্যান সরিয়ে দেয়। এরপর পা পরিষ্কার হলে সুন্দর করে নেলপলিশ পরে নিন। ব্যস পায়ের থেকে চোখ সরবে না।