শীতকাল মানেই কড়াইশুঁটির কচুরি আর আলুর দম। কড়াইশুঁটির কচুরি কে না খেতে ভালোবাসেন!এই কড়াইশুঁটির কচুরিতে থাকে পুষ্টিগুণও। কড়াইশুঁটিতে থাকে প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন ডি এবং ফাইবার। তা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। শীতকালেই মেলে কড়াইশুঁটি। আর তা দিয়ে শুধু কচুরি নয় বরং আলুর দম, মাশরুম ও পরোটাও তৈরি হয়। তবে কড়াইশুঁটির কচুরি সবাই খেতে পারেন না। শরীরে কয়েকটি সমস্যা থাকলে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
অনেকেই জানেন না যে অতিরিক্ত পরিমাণে কড়াইশুঁটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে? কড়াইশুঁটি ওজন কমাতে সাহায্য করে, তবে অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়েও যেতে পারে। শীতকালে কড়াইশুঁটি গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যায় তা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কোন কোন ক্ষেত্রে খাবেন না-
অ্যাসিডিটির সমস্যা- যাঁরা বদহজম এবং অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের ভুল করেও কড়াইশুঁটির কচুরি খাওয়া উচিত নয়। তাঁরা কচুরি তাড়াতাড়ি হজম হয় না। কারণ এতে থাকে কড়াইশুঁটি ও ময়দা। দুটি জিনিসই চট করে হজম হয় না। ফলে পেটে গ্যাস হয়। পেট ফুলে যায়। এমনকি কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে।
কিডনি সমস্যা- কড়াইশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। যে কারণে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগতে পারেন। কিডনির ঠিক মতো কাজ করে না। তাই কিডনির সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁরা কচুরি এড়িয়ে চলুন।
ওজন বৃদ্ধি- ওজন যাঁরা কমাতে চাইছেন তাঁরা এড়িয়ে চলুন কড়াইশুঁটির কচুরি। কড়াইশুঁটির কচুরি তেলে ভাজা হয়। সেই সঙ্গে থাকে ময়দা। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট। ফলে ওজন বাড়তে শুরু করে। ফলে কড়াইশুঁটির কচুরি এড়িয়ে চলা উচিত। যাঁদের ওজন বেশি তাঁরাও এড়িয়ে চলুন। কারণ ওজন আরও বেড়ে যেতে পারে। মটরশুঁটিতে ফাইটিক অ্যাসিড এবং লেকটিনের মতো পুষ্টি থাকে। তা অন্যান্য পুষ্টির শোষণে বাধা দেয়। যা শরীরে পুষ্টির ঘাটতি ঘটায় এবং অপুষ্টির কারণ হতে পারে।
ইউরিক অ্যাসিড- কড়াইশুঁটিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন ডি এবং ফাইবার। এর ফলে বেড়ে যায় শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। যাঁদের শরীরে হাই ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে তাঁরা এড়িয়ে চলুন।
রক্ত জমাট বাঁধা এবং থ্রম্বোফ্লেবিটিস- মটরশুঁটি ভিটামিন কে সমৃদ্ধ। যা মেটাবলিজম,রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা এবং কোষে শক্তির মাত্রা বাড়াতে পারে। ফলে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়। ভিটামিন কে শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড, রক্ত জমাট বাঁধা এবং থ্রম্বোফ্লেবিটিসের মতো সমস্যা থাকলে এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন- ফল কাটার কতক্ষণ পর খেলে বিষক্রিয়া হয় না? যা বলছেন পুষ্টিবিদরা