কথায় বলে 'মাছে -ভাতে বাঙালি'। মাছের (Fish) প্রতি বাঙালির ভালোবাসার কথা প্রায় সকলের জানা। ইলিশ, রুই, কাতলা, ভেটকি, পাবদা, পারশে, চিতল, কই, বাটা, মৌরলা ইত্যাধি ছোট- বড় টাটকা মাছ বাজার থেকে কেনার জন্য ভিড় জমে সকাল - সন্ধ্যে। বিশেষত উৎসবের আগের দিনগুলিতে মাছের দোকানে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। এরকমই এক জনপ্রিয় মাছের নাম লইট্টা (Loitta) বা লোটে (Lote)। আবার স্থান বিশেষে অনেকে নীহারি মাছ (Nihari Maach) বলে থাকেন।
লইট্টা এক ধরনের সামুদ্রিক মাছ। সাধারণত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল যেমন— বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগর, দক্ষিণ ও ভারতীয় মহাসাগরে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। তবে বিশেষত পূর্ববঙ্গীয়দের এই মাছ খুবই প্রিয়। লইট্টা মাছ দু'ভাবে খাওয়া যায়। একটি হল তাজা মাছ, অন্যটা রোদের শুকিয়ে শুঁটকি মাছ হিসাবে। লইট্টা মাছ দামে স্বস্তা হলেও পুষ্টিতে ভরপুর। জানুন লইট্টা মাছের উপকারিতা (Bombay Duck Benefits)।
* লইট্টা মাছ প্রোটিনে ভরপুর। তবে যখন লইট্টা মাছকে শুঁটকি আকারে খাওয়া হয়, তখন এই প্রোটিনের পরিমান আরও বৃদ্ধি পায়। প্রোটিন আমাদের শরীরের টিস্যু গঠনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এই মাছে থাকা প্রোটিন শরীরের হরমোন, এনজাইম এবং অন্যান্য কেমিক্যালের ভারসাম্য বজায় রাখে।
* লইট্টা শুঁটকিতে থাকা ক্যালসিয়াম উচ্চ-রক্তচাপ কমায়।
* এছাড়াও লইট্টা শুঁটকিতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি দারুণ কার্যকরি।
* এই মাছে রয়েছে অতি উপকারী ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিড। যা, শরীরের রক্তনালীকে পরিষ্কার রাখে। হার্টের সুস্বাস্থ্যের জন্যে লইট্টা মাছে থাকা ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিডের কাজ বহুমাত্রিক। যেমন- অতিরিক্ত রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিহত করা, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের লেভেল কমানো, রক্ত-সঞ্চালন বাড়ানো ইত্যাদি।
* লইট্টা মাছ আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত রোগীর জন্যে খুবই উপকারি।
* এই মাছের তেল দারুণ ব্যথানাষক ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
* লইট্টা মাছ কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন:
* হিমোগ্লোবিন তৈরি, পেশির শক্তি বৃদ্ধি, ব্রেইনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অনিদ্রা কমানো, শক্ত হাঁড় ও দাঁত তৈরি, পরিপাকে সহায়তা, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, ত্বক ও ঠোঁটের সুস্বাস্থ্য সহ আরও বিভিন্নভাবে উপকারী লইট্টা মাছ।