ভারতের মতো অনন্য় জাপানের সংস্কৃতি। তাঁরা দীর্ঘায়ু ও লম্বা যৌবনের অধিকারী হন। জাপানিরা নিজেদের জেল্লাদার ত্বক ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্যও খ্যাত। এটা তো জানা কথা, জাপানের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি। শিশু মৃত্যুহার অনেক কম। তাঁদের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অভ্যাসগুলি মেনে চলেন বলেই সুস্থ থাকেন জাপানিরা। এটাই তাঁদের যৌবনের চাবিকাঠি। কীভাবে, কী খেয়ে দীর্ঘায়ু পান জাপানিরা? চাইলে জাপানিদের অভ্যাস রপ্ত করে আপনারাও হয়ে উঠতে পারেন দীর্ঘায়ুর অধিকারী, সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে থাকবে যৌবন। এটা খুবই সহজ উপায়।
ভাত- বাঙালিরা মাছ-ভাতে। ভাত খেয়েই খুশি থাকেন বাঙালিরা। অনেকেই ভাত এড়িয়ে যেতে চান। তবে জাপানিরা কিন্তু ভাত খেয়েই সুস্থ থাকেন। আজ্ঞে হ্যাঁ, ভাত জাপানিদের অতি প্রিয় খাবার। পুষ্টিবিদদের মতে,জাপানিদের মতো নিয়মিত নিয়ন্ত্রিত পরিমাণ ভাত খেলেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন। তা ভাত ছাড়া নো-কার্বস ডায়েট বা ক্র্যাশ ডায়েটের ফাঁদে পড়বেন না। নিয়মিত ভাত খান।
নরি- জাপানিদের অত্যন্ত প্রিয় খাবার নরি। এটা আসলে শুকনো সামুদ্রিক শৈবাল। বহু শতাব্দী ধরেই এই খাবার থাকে জাপানিদের পাতে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ,সি এবং ই থাকে। থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। ভাবছেন এ দেশে এই নরি পাব কোথায়? আজকাল অনলাইনের যুগে চাইলেই তো সব পাওয়া যায়। তাই নরিও পেয়ে যাবেন। খালি Nori Sheets লিখে সার্চ করতে হবে। নুডল, চাইনিজ বা জাপানি খাবারের সঙ্গে নরি খেতে পারেন। স্বাস্থ্যে গতি আসবেই।
গ্রিন টি- গ্রিন টি ভীষণ পছন্দ করেন জাপানিরা। এতে থাকে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যান্সার-সহ নানা অসুখে বিরুদ্ধে লড়াই করে। কমায় হৃদরোগের ঝুঁকি। ক্লান্তি কমিয়ে শরীরকে চনমনে করে। এমনকি ওজন কমাতেও কার্যকর। তাই রোজ সকাল-সন্ধ্যায় এক কাপ গ্রিন টি ডায়েটে শামিল করুন।
নিয়মিত শরীরচর্চা- যতই খাওয়াদাওয়া করুন আর যাই করুন না কেন! নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে কিছুই হবে না। জাপানিরাও কিন্তু ফিট, ছিপছিপে শরীর রাখতে ভালবাসেন। তাই তাঁরা নিয়মিত দৌড়, জগিং, হাঁটা, যোগ ব্যায়াম করে থাকেন। তাই দীর্ঘায়ু পেতে গেলে ওয়ার্কআউট করতেই হবে। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ঘাম ঝরান।
গাঁজনযুক্ত খাবার- প্রচুর পরিমাণে গাঁজনযুক্ত খাবার খান জাপানিরা। এই তালিকায় আছে- মিসো, সয়া সস, টেম্পেই এবং কিমচি। এই খাবারগুলি রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। হজম করতেও কার্যকর। এসব আপনি পাবেন কোথায়? চিন্তা নেই, বাঙালির আদি-অকৃত্রিম পান্তা ভাত এই শ্রেণিভুক্ত। সেটি ফার্মেন্টেড খাবারই। তাই মাঝেমধ্যে রাতে অতিরিক্ত ভাত জল ঢেলে ভিজিয়ে দিন। পরের দিন লেবু, পেঁয়াজ দিয়ে খেয়ে নিন। পান্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। সেই সঙ্গে পুষ্টিকরও।
সবজি- বাংলায় প্রচুর মরশুমী সবজি পাওয়া যায় শীতকালে। তাই শীতকালে প্রচুর পরিমাণে সবুজ সবজি খান। মাছ-মাংসের সঙ্গে পাতে রাখুন মরশুমি সবজি। সুস্বাস্থ্যের জন্য শাক-সবজির কোনও বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন- কম বয়সেই থাইরয়েড? সকালে এই ৫ পানীয় খেয়ে কমিয়ে ফেলুন অসুখ