Advertisement

Love Bite: মিলনের চরম মুহূর্তে 'লভ বাইট'-এ স্ট্রোকও হতে পারে! সাবধান করলেন বিশেষজ্ঞ

চরম ঘনিষ্ট মুহূর্তে অনেক সময়েই প্রেমিক-প্রেমিকা একে অন্যের গলায় বা ঘাড়ে লভ বাইট দিয়ে থাকেন। তবে এই বাইট বা আদরের কামড় হতে পারে প্রাণঘাতীও। কীভাবে জানেন?

নিজস্ব চিত্রনিজস্ব চিত্র
Aajtak Bangla
  • বেঙ্গালুরু ,
  • 11 Jul 2025,
  • अपडेटेड 1:26 PM IST
  • লভ বাইট হতে পারে প্রাণঘাতী
  • প্রেমিক-প্রেমিকা একে অন্যের গলায় বা ঘাড়ে লভ বাইট দিয়ে থাকেন
  • সাবধান করছেন বিশেষজ্ঞ

'লভ বাইট' হয়তো দেখতে খুবই ছোট একটি চিহ্ন, তবে এটি দু'জন মানুষকে সেই মুহূর্তের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন আবেগ-প্রেম কোনও বাঁধা মানেনি। ভালবাসায় শারীরিক সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক। এবং সেই ঘনিষ্ট মুহূর্তে প্রেমিকের শরীরে প্রেমিকার আদরের কামড়ও সাধারণ বিষয়। তবে এই লাভ বাইটই আপনার শরীরে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে, তা জানেন কী?

'লভ বাইট'-এর ফলে চামড়া লাল হয়ে যাওয়া, কালশিটে পড়া কিংবা হাল্কা ব্যথা ছাড়াও গভীর কিছু শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেই তালিকায় রয়েছে স্ট্রোকের মতো গুরুতর রোগও। 'লভ বাইট'-এর জেরে আপনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন কি না, তা অবশ্যই জানা জরুরি।

কী এই 'লাভ বাইট'?

আরও পড়ুন

'লভ বাইট' অর্থাৎ আদরের কামড়। চামড়ায় গাঢ় নীল বা বেগুনি রঙের চিহ্ন তৈরি হয়। কালশিটে পড়ে যায় ওই অংশে। ২০-৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশটি ব্যথা কিংবা জ্বালা করে। এই আদরের কামড়ের ফলে যে চিহ্ন তৈরি হয় তা মূলত ওই অংশে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে হয়। ঘনিষ্ট মুহূর্তের সময়ে প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে 'লভ বাইট'-এর ফলে চামড়ার নীচের একটি ছোট ব্লাড ভেসেল ফেটে যায়। এর ফলেই লাল, গাঢ় নীল বা বেগুনি রঙের দাগ তৈরি হয়।

চিকিৎসা পরিভাষায় এই 'লভ বাইট'-কে বলা হয় 'এক্চিমোসিস', 'এরিথেমা', 'হেমাটোমা', 'পুরপুরা', 'পেটিচিয়া'।

প্রথম প্রথম এই 'লভ বাইট' একটি ছোট চিহ্নের মতো দেখতে লাগে। পরে সেটি রক্ত জমাট বাঁধার কারণে প্রথমে লাল তারপর গাঢ় নীল এবং তারপর ধীরে ধীরে হাল্কা হলুদ রঙ ধারণ করে। ১০ থেকে ১২ দিন লাগে এই দাগ সম্পূর্ণ উধাও হতে।

ছবি: মেটা এআই

এই ৩ সমস্যার কারণ 'লভ বাইট'

বেঙ্গালুরুর স্পর্শ হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. নীতিন কুমার এন আজ তক-কে বলেন, 'যুগলের মধ্যে ফোরপ্লে চলাকালীন অনেক সময়ে গলায় বা ঘাড়ে চুম্বনের কারণে চাপ পড়ে নীল-বেগুলি চিহ্ন তৈরি হয়। একেই চলতি কথায় আমরা লভ বাইট বলে থাকি। সাধারণ বিচারে এটিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না ঠিকই তবে গত কয়েক বছরে একাধিক সমস্যা সামনে এসেছে। মূলত ৩ প্রকার সমস্যা তৈরি হতে পারে। এক, করোটিড সাইনাস। আসলে গলাতেই থাকে নার্ভ সেল। লভ বাইটের ফলে এই নার্ভ সেল সক্রিয় হয়ে যায়। এই সেল হার্টের সঙ্গে যুক্ত ফলে হার্টবিট কমে যায়। ব্লাড প্রেশারও কমে যেতে পারে। মাথা ঘোরারও সমস্যা হতে পারে। আচমকা মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারেন।'

Advertisement

এছাড়াও এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, 'আগে থেকে গলায় বা ঘাড়ে কোনও রক্ত জমাট বাঁধা অংশ থাকলে তার উপর লভ বাইটে হিতে বিপরীত হতে পারে। রক্ত মাথায় উঠে যেতে পারে। এর ফলেই স্ট্রোক হতে পারে মানুষের। পাশাপাশি অনেক সময়ে গলায় বা ঘাড়ে চুম্বনের জেরে অতিরিক্ত চাপ পড়লে সেখানকার ব্লাড ভেসেল ফেটে যেতে পারে এবং চামড়া ভেদ করে রক্ত বেরোতে পারে। ফলে কারও চামড়া সংবেদনশীল হলে ঘনিষ্ট মুহূর্তে সচেতন হওয়া আবশ্যক।'

ছবি: মেটা এআই

২০১১ সালে নিউ জিল্যান্ডের এক মহিলার লভ বাইটের জেরে স্ট্রোক হয়। ডেনমার্কের এক ৩৫ বছক বয়সী মহিলা লভ বাইটের ১২ ঘণ্টার মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন এবং তাঁর শরীরের ডান দিক অবশ হয়ে যায়।

তবে WebMed সংস্থার দাবি, লভ বাইটের ফলে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া ১০০টির মধ্যে ১টি ক্ষেত্রে হয়। গলার দুই দিক দিয়েই একটি বিশেষ ধমনী রয়েছে, যাকে বলা হয় করোটিড। মস্তিষ্ক, মুখ এবং গলায় রক্ত সঞ্চালন করে এই করোটিড। লভ বাইটের ফলে এই করোটিডে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে অথবা আগে থেকে সেখানে জমাট বাঁধা রক্তের অংশে ধাক্কা লাগতে পারে। এর জেরেই স্ট্রোকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। ডেনমার্ক এবং নিউ জিল্যান্ডের দুই মহিলার স্নায়ুঘটিত সমস্যা আগে থেকেই ছিল বলে অনুমান। সে কারণেই লভ বাইটে মারাত্মক ক্ষতি হয় তাঁদের।

লভ বাইটের ফলে তৈরি নীল-বেগুনি চিহ্ন টিবি, জীবানু সংক্রমণ, ফাংগাল ইনফেকশন, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়ার মতো রোগেরও লক্ষণ।

Read more!
Advertisement
Advertisement