লুচি আর দুর্গাপুজো যেন সমার্থক। অষ্টমীর অঞ্জলী দিয়ে অথবা বাকি দিনগুলিতে পুজো সেরে লুচি খান না এমন বাঙালি কমই আছেন। অনেকে সারাবছর ডায়েট মেনে চলার কারণে লুচি খান না। শরীরের জন্য নিজেকে এর থেকে দূরেই রাখেন। কিন্তু পুজোর সময় তো তা সম্ভব নয়। আবার এটাও ঠিক লুচিতে থাকে হাই ক্যালোরি, হাই ফ্যাট। তাহলে কি লুচি খাওয়া যাবে না?
আপনার সবাই জানেন যে, লুচি হল ডিপ ফ্রায়েড একটা খাবার। ময়দা-তেল দিয়ে তৈরি হয়। এটি রিফাইন কার্বোহাইড্রেটের একটা বড় সোর্স। তাহলে কী করা যাবে?
উত্তর হল লুচি খান। অবশ্যই খান। তবে পরিমিত। কারণ, পরিমিত খাবারই হল ভালো থাকার, সুস্থ থাকার অন্যতম শর্ত। লুচির ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত: চেষ্টা করুন, লুচি বাড়িতে বানিয়ে খাওয়ার।
আরও পড়ুন : খুব সহজেই আপনার ফোনে 5G চালু করুন এইভাবে
দ্বিতীয়ত : সাধারণত বাঙালিরা ময়দা দিয়ে লুচি বানিয়ে থাকেন। ময়দা যেহেতু একটি রিফাইন কার্বোহাইড্রেট, সেহেতু পুষ্টিগুণ বাড়ানোর জন্য ময়দার পরিবর্তে লুচি আটা দিয়ে বানাতে পারেন। এতে পুষ্টিগুণ বেশি পাবেন। কারণ, আটাতে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট থাকে।
তৃতীয়ত : লুচি যে তেলে ভাজা হচ্ছে খেয়াল রাখবেন সেই তেলে যেন স্মোকিং পয়েন্ট বেশি থাকে। যেমন ক্যানোলা অয়েল, মাস্টার্ড অয়েল, ভেজিটেবিলস অয়েল, রিফাইনড অয়েল এগুলোতে স্মোকিং পয়েন্ট বেশি থাকে। তাই এইসব তেলেই লুচি ভাজুন।
চতুর্থত : লুচি ভাজার সময় তেল যেন পুড়ে না যায়। পোড়া তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাই সেই তেলে ভাজা লুচি এড়িয়ে চলুন।
পঞ্চমত : হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশনের ওষুধ খান, তাঁরা ডায়টেশিয়ান বা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই লুচি খাবেন।
ষষ্ঠত : লুচির সঙ্গে কী তরকারি খাবেন? এই প্রশ্নটাও অনেকের মনে ঘোরাফেরা করে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, লুচি যেহেতু হাই ক্যালোরি যুক্ত খাবার তাই তার সঙ্গে এমন কোনও পদ পাতে রাখুন যেটা অল্প তেল দিয়ে বানানো হয়েছে। যেমন, ছোলার ডাল, ঘুগনি, প্লেন আলুর দম, সাদা আলুর চচ্চড়ি খেতে পারেন। এগুলো লুচির সঙ্গে খেতে ভালো লাগে আবার স্বাস্থ্যকরও।
সপ্তমত : লুচি তরকারির সঙ্গে জল খেতে ভুলবেন না। বলা ভালো বেশি করে জল খান। আর পর্যাপ্ত পরিশ্রম করুন। তাহলেই শরীর থাকবে ফিট। লুচিও খেতে পারবেন আবার শরীরও খারাপ হবে না।