Low Magnesium Sign: ম্যাগনেসিয়াম হল এক ধরনের খনিজ, যা শরীরের সঠিক কার্যকারিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ঘাটতিকে হাইপোম্যাগনেসেমিয়াও বলা হয়। সাধারণত, সঠিক খাদ্য চয়ন না করা এবং রোগের ফলে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ার কারণে এর মাত্রা প্রভাবিত হয়।
শরীরে কতটা ম্যাগনেসিয়াম থাকা উচিত?
NHS অনুসারে, ১৯ থেকে ৬৪ বছর বয়সী পুরুষদের প্রতিদিন ৩০০mg প্রয়োজন এবং ১৯ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মহিলাদের প্রতিদিন ২৭০mg ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন। ক্রমাগত এর পরিমাণ কম থাকায় মানসিক ও শারীরিক রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আপনি এখানে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবের লক্ষণ এবং এটি প্রতিরোধ করার জন্য খাবার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
খারাপ মেন্টাল হেলথ
NCBI রিপোর্ট অনুসারে , ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির ঝুঁকিকে বারিয়ে দেয়। শরীরে এর পর্যাপ্ত পরিমাণ না পাওয়া গেলে মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ইমোশনের অভাব, বিভ্রান্তি, সচেতনতা হ্রাস এবং এমনকি কোমা।
অস্টিওপরোসিস
অস্টিওপোরোসিস হাড় সম্পর্কিত একটি গুরুতর রোগ। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির হাড় এতটাই দুর্বল যে হাঁচি-কাশিতেও ভেঙে যায়। যদিও বয়স, স্থবির জীবনযাপন, ভিটামিন ডি এবং কের অভাবের কারণেও এই রোগ হয়। কিন্তু এক গবেষণায় দেখা গেছে, ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতিও অস্টিওপোরোসিস এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
পেশী গঠনে বাধা
পেশী ক্র্যাম্প সাধারণত সারাদিনের ক্লান্তির কারণে হয়। কিন্তু এটি শরীরে অপর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়ামের লক্ষণও হতে পারে। এই পেশী দুর্বলতা মায়াস্থেনিয়া গ্রাভিসের কারণে হতে পারে।
ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে হৃদরোগ হয়
ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়াতে কাজ করে। প্রাণীদের ওপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা কম হলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, যা হার্টকে দুর্বল করে দেয়। এ কারণে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও রয়েছে।
অ্যারিথমিয়া
অ্যারিথমিয়া হৃৎস্পন্দন হঠাৎ বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত একটি রোগ। সময়মতো চিকিৎসার অভাবে স্ট্রোক বা হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকিও থাকে। ম্যাগনেসিয়ামের অভাব এই অবস্থার কারণ হতে পারে।
ম্যাগনেসিয়ামের জন্য কী খাবেন?
সবুজ শাক, বাদাম, বীজ, মটরশুঁটি, গোটা শস্য, গমের বীজ, বার্লি প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সেরা বিকল্প হিসাবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও, আপনি অ্যাভোকাডো, টোফু, টুনা, পালং শাক এবং ডার্ক চকলেট খেতে পারেন।