Advertisement

Mahurat Deliveries in India: 'শুভক্ষণে' ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে দেশে, কুসংস্কার নাকি মারাত্মক প্রবণতা?

ভারতে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে ‘মুহূর্ত ডেলিভারি’ বা নির্দিষ্ট শুভ সময়ের প্রতি নির্ভরতা ক্রমশ বাড়ছে। অনেক বাবা-মা বিশ্বাস করেন, একটি নির্দিষ্ট মুহূর্তে জন্ম নিলে সন্তানের ভবিষ্যৎ ভালো হবে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কখনও কখনও মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

প্রতীকী ছবিপ্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 18 Feb 2025,
  • अपडेटेड 8:10 PM IST
  • ভারতে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে ‘মুহূর্ত ডেলিভারি’ বা নির্দিষ্ট শুভ সময়ের প্রতি নির্ভরতা ক্রমশ বাড়ছে।
  • অনেক বাবা-মা বিশ্বাস করেন, একটি নির্দিষ্ট মুহূর্তে জন্ম নিলে সন্তানের ভবিষ্যৎ ভালো হবে।

ভারতে সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে ‘মুহূর্ত ডেলিভারি’ বা নির্দিষ্ট শুভ সময়ের প্রতি নির্ভরতা ক্রমশ বাড়ছে। অনেক বাবা-মা বিশ্বাস করেন, একটি নির্দিষ্ট মুহূর্তে জন্ম নিলে সন্তানের ভবিষ্যৎ ভালো হবে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কখনও কখনও মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

কী এই মুহূর্ত ডেলিভারি?
‘মুহূর্ত ডেলিভারি’ বলতে বোঝানো হয় এমন এক অভ্যাস, যেখানে বাবা-মা জ্যোতিষ বা পুরোহিতের পরামর্শ অনুযায়ী সন্তানের জন্মের দিন ও সময় নির্ধারণ করেন। সাধারণত এটি সিজারিয়ান ডেলিভারির মাধ্যমে করা হয়, যাতে নির্দিষ্ট মুহূর্তে প্রসব নিশ্চিত করা যায়।

কেন বাড়ছে মুহূর্ত ডেলিভারির প্রবণতা?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতে সিজারিয়ান ডেলিভারির প্রতি নির্ভরতা বাড়ায় মুহূর্ত ডেলিভারির প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক বাবা-মা মনে করেন, আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা দিয়ে ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তাই তারা জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী জন্মের সময় নির্ধারণ করতে চান।

বাবা-মায়েদের যুক্তি কী?
১. সন্তানের শুভ জন্মক্ষণে জন্ম হলে তার ভবিষ্যৎ ভালো হবে।
২. সংখ্যাতত্ত্ব ও জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে বিশেষ তারিখ ও মুহূর্ত ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে।
৩. প্রথমবার মা হওয়ার ক্ষেত্রে পরিকল্পিত প্রসব বেশি স্বস্তিদায়ক মনে হয়।
৪. অনেকে বিশেষ দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে চান (যেমন, ধর্মীয় উৎসবের দিন)।

মুহূর্ত ডেলিভারি কি বিপজ্জনক?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুহূর্ত ডেলিভারির কারণে কিছু গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে—

১. অকাল প্রসব: নির্ধারিত সময়ে সন্তান জন্মের জন্য জোর করলে শিশুটি অপরিণত অবস্থায় জন্মাতে পারে।
২. NICU-তে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন: ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্মানো শিশুরা শারীরিকভাবে দুর্বল থাকতে পারে, ফলে তাদের ইনটেনসিভ কেয়ারের প্রয়োজন হয়।
৩. প্রাকৃতিক প্রসবের সুযোগ নষ্ট: অনেক ক্ষেত্রে, যেখানে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মানো সম্ভব, সিজারিয়ান বাধ্যতামূলক হয়ে যায়।
৪. মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকি: অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের ফলে সংক্রমণ, রক্তক্ষরণ, ও অন্যান্য জটিলতার সম্ভাবনা থাকে।
৫. ভ্রূণের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হওয়া: নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে জন্ম হলে শিশুর জন্মগত কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Advertisement

হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের ভূমিকা
বেশিরভাগ হাসপাতাল ও চিকিৎসক এখন এই প্রবণতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। যদিও কিছু ডাক্তার এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন, তবে অনেকে পরিস্থিতির চাপে পড়ে এই অনুরোধ মেনে নিচ্ছেন। তবে, বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে পরিকল্পিত সিজারিয়ান শুধুমাত্র মা ও শিশুর সুস্থতার কথা ভেবে করা উচিত, কুসংস্কারের কারণে নয়।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement