মিষ্টি খেতে ভালোবাসলেও অনেকে বিভিন্ন কারণে মিষ্টির থেকে দুরত্ব বজায় রেখেছেন। কেউ ডায়েটের চক্করে, কেউ বা ডায়াবেটিসের জন্য মিষ্টি একেবারেই ছেড়ে দিয়েছেন। তবে বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান থাকলে কিংবা কোনও উৎসবের দিনে একটু মিষ্টিমুখ করতে ইচ্ছে করে কমবেশি সকলেরই। তবে বাইরের মিষ্টি কিংবা চিনি দিয়ে তৈরি বাড়ির মিষ্টি খেলেই যে ওজন বেড়ে যায়। যদি বলা হয় পায়েস খেয়েই আপনি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন! শুনতে অবাক লাগলেও বাড়িতে মাখানা দিয়ে তৈরি পায়েস খেলে আপনার ওজন তো বাড়বেই না, উল্টে লাভ হবে শরীরের। এই পায়েসে চিনির বদলে খেজুর দিন। লেভনীয় এই মিষ্টির পদ খেলে কিন্তু আপনার ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
প্রোটিনে ভরপুর মাখানা
প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট রয়েছে মাখানায়। কিম্পফেরল নামক এক ধরনের উপাদান থাকায় মাখানা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরিও বটে। এ ছাড়া দুধেও ভরপুর মাত্রায় প্রোটিন থাকে। তাই শরীরের পুষ্টি জোগাতে এই পায়েস দারুণ উপকারী।
সুগারের রোগীরাও খেতে পারেন
মাখানার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই যাঁদের রক্তে শর্করা বেশি তাঁরাও নির্ভয়ে খেতে পারেন। আবার, এতে ট্রান্স ফ্যাট নেই, তাই কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। উল্টে পটাশিয়াম থাকায়, তা হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে।
গর্ভবতীদের জন্য ভাল
পদ্মবীজের খই বা মাখানায় আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকায় তা রক্তাল্পতার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য কিন্তু এই পায়েস ভাল খাবার।
ঘুম ভাল হয়
প্রত্যেক দিন অল্প পরিমাণে মাখানা খেলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
হজমশক্তি ভাল থাকে
বিপাকহার ভাল রাখতেও পদ্মফুলের বীজ থেকে পাওয়া খই বা মাখানার ভূমিকা রয়েছে। এই কারণে ডায়েটে মাখানা ক্ষীর থাকলে শরীরও ছিপছিপে থাকে। বেশ চনমনে ভাব আসে।