Advertisement

World Malaria Day 2022 : ফুসফুস-লিভার পুরোপুরি নষ্ট করে ম্যালেরিয়া, জানুন উপসর্গ ও বাঁচার উপায়

ম্যালেরিয়ার বিপজ্জনক সংক্রমণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল দিনটি বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়। চলুন এই রোগের উপসর্গ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

প্রতীকী ছবিপ্রতীকী ছবি
  • 25 Apr 2022,
  • अपडेटेड 10:19 AM IST
  • আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস
  • এই রোগে ক্ষতি হয় দেহের বেশকিছু অঙ্গের
  • সময়মতো চিকিৎসা না হলে ফল হতে পারে মারাত্মক

ম্যালেরিয়া মশাবাহিত একটি মারাত্মক রোগ, যা স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে ছড়ায়। এই মশা দংশন করার সময় আমাদের রক্তে পরজীবী ছেড়ে যায়। পরজীবীটি শরীরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে লিভারের দিকে চলে যায়। পরিপক্ক হওয়ার কয়েক দিন পর, পরজীবীটি রক্তে প্রবেশ করে, এবং লোহিত রক্তকণিকার ক্ষতি করে। এই বিপজ্জনক সংক্রমণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল দিনটি বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়। চলুন এই রোগের উপসর্গ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

উপসর্গ
ম্যালেরিয়া হলে রোগীর শীত করে, আবারা ঘামও হয়। প্রচন্ড জ্বরও ওঠে। এছাড়া মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, রক্তাল্পতা এবং পেশিতে ব্যথাও অনুভব হয়। পাশাপাশি খিঁচুনি, কোমা বা মলের সঙ্গে রক্ত ​​পড়ার সমস্যাও ম্যালেরিয়ার কিছু কিছু রোগীর মধ্যে দেখা যায়। শরীরে এই লক্ষণগুলো দেখা গেলেই অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। 

ম্যালেরিয়ায় ঘাতক রূপ 
ম্যালেরিয়া সংক্রমণে রোগীর সময়মতো চিকিৎসা না হলে তার পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। প্রদাহ বাড়তে পারে রোগীর মস্তিষ্কের রক্তনালীতে। ফুসফুসে তরল জমার কারণে তাঁর শ্বাস নিতেও অসুবিধা হতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় পালমোনারি এডিমা। এছাড়া লিভার, কিডনি ও প্লীহার মতো প্রধান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। লোহিত রক্ত ​​কণিকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে। রোগীর লো-ব্লাড সুগারের সমস্যাও হতে পারে। 

আরও পড়ুন

রক্ষা পাওয়ার উপায় 
ম্যালেরিয়া এড়াতে প্রথমে বাড়ির ভিতরে ও বাইরে মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করতে হবে। এজন্য চারপাশের পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। জমে থাকা জলে মশা জন্মাতে দেবেন না। সেজন্য বৃষ্টি শুরুর আগেই বাড়ির পাশের ড্রেন পরিষ্কার ও রাস্তার গর্ত ইত্যাদি ভরাট করে ফেলুন। বাড়ির প্রতিটি কোণে নির্দিষ্ট সময় অন্তর কীটনাশক স্প্রে করুন। ঘরের আশেপাশে কুলার, এসি, পাত্র ও টায়ার ইত্যাদিতে জল জমতে দেবেন না। জলের ট্যাঙ্কগুলোও ভালভাবে ঢেকে রাখুন।

Advertisement


 

Read more!
Advertisement
Advertisement