প্রতিবছর ২৩ শে মার্চ ভারতে শহিদ দিবস (Martyrs Day) পালিত হয়। এই দিনটিতে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিন শহিদকে শ্রদ্ধা জানায় ভারতীয়রা। ভগত সিং (Bhagat Singh), সুখদেব থাপার (Sukhdev Thapar) এবং শিবরাম রাজগুরু (Shivaram Rajguru) দেশের জন্যে জীবন ত্যাগ করেছিলেন এদিন। তাই তাঁদের স্মরণ করেই সম্মান জানানো হয় এই বিশেষ দিন।
কেন শহিদ দিবস পালন করা হয়
১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় প্রাণ হারিয়েছিল ভগত সিং, সুখদেব থাপার এবং শিবরাম রাজগুরু। ১৯২৮ সালে ব্রিটিশ অফিসার জন স্যান্ডার্সকে হত্যার করার অভিযোগে তাঁদের ফাঁসি দেওয়া হয়।
শহিদ দিবস কেন গুরুত্বপূর্ণ
প্রতি রাতের মতো সেই রাতেও এই তিন তরুণ স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশকে বিটিশ শাসন থেকে মুক্ত করার। এই খবরটি গোটা দেশে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। সেই রাতে শুধুমাত্র এই তিনজনের পরিবার না, সমগ্র দেশবাসীর জন্য স্মরণীয়। ভগত সিং, সুখদেব এবং রাজগুরু তিনজনই তখন খুব কম বয়সি ছিলেন। সেই তরুণেরা দেশবাসীর জন্য চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। তাঁদের গল্প আজও ভারতবাসীকে অনুপ্রাণিত করে।
এই বছর, কোভিড- অতিমারীর জন্য শহিদ দিবস উদযাপন সেইভাবে করা সম্ভব না। তাই শহিদ দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোয় স্টোরি ও স্ট্যাটাস স্থিতি দিতে পারেন আপনি। এই বছর অমর শহীদের শ্রদ্ধা জানান ভার্চুয়াল মাধ্যমেই।
শহিদ দিবসের যেই স্ট্যাটাস বা মেসেজ আপনি শেয়ার করতে পারেন
* শহিদরা নিঃস্বার্থভাবে আত্মত্যাগ করেন। বলা ভাল তাঁরা স্বার্থপরকে আরও স্বার্থপর, অলসকে আরও অলস, সংকীর্ণ মনের ব্যক্তিকে আরও সংকীর্ণ করে তোলে।
* একজন শহিদ কখনই মৃত্যুর সঙ্গে সহযোগিতা করতে পারে না, বরং তাঁরা এমনভাবে মৃত্যুবরণ করেন যাতে যমও না ভাবে যে তাঁরা পালানোর চেষ্টা করছে।
* সরফরোশি কি তামান্না আব হামারে দিল মে হে, দেখনা হে জোড় কিতনা বাজু-ই-কাতিল মে হে!
* জশন আজাদী কা মুবারক হো দেশওয়ালো কো, ফান্দে সে মহাব্বত থি হাম ওয়াতান কে মাতওয়ালো
* জাতির উপস্থিতি সংগ্রামীদের জীবনকে কেন্দ্র করে যে ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছিল, এই শহিদরা ভবিষ্যত প্রজন্মকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিতে তাঁদের জীবন উৎসর্গ করে।
* তারা আমার দেহে নির্যাতন করতে পারে, আমার হাড় ভেঙে দিতে পারে, এমনকি আমাকে হত্যা করতে পারে। তবে তারা আমার মৃতদেহ পাবে, কখনই আমার আনুগত্য নয়।
* হস হস কে চারে সুলি পর, জো মরনে সে না কাভি ডরে, উনহি শহিদো কী চিতায়ো পর লাগতে হে হর বড়স মেলে; জো জং-এ-আজাদী মে সবসে আগে হোকার হে লারে!
* শহিদের আগামী প্রজন্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য এই ত্যাগ করেন। সকল শহিদকে কুর্নিশ জানাই, যারা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করে আমাদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন।
* শহিদের রক্ত জাতির বীজ।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের ১১ ঘণ্টা আগে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ভগত সিংদের! জানতেন?
ভারতের সকল স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শহিদদের জন্মদিন কোনও সাধারণ দিন না। এটি ভারতের ইতিহাসে একটি গৌরবময় দিন হিসাবে পরিচিত। অবিভক্ত ভারতের ভূমিতে এমন কিছু ব্যক্তির জন্ম হয়েছিল, যারা হয়তো ইতিহাস লেখার জন্যেই জন্মেছিলেন।