Memory Boosting Foods for Kids: ফাস্টফুড নয়, আপনার শিশুকে দিন এই খাবারগুলি, ব্রেন শার্প হবে
Memory Boosting Foods for Kids: যে সব শিশুকে অল্প বয়স থেকেই সঠিক পুষ্টি দেওয়া হয়, তারা অন্য শিশুদের তুলনায় অনেক দ্রুত বেড়ে ওঠে। শিশু অবস্থাতেই ব্রেনের বিকাশ হয়। এই সময়টাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই জানা দরকার কী খাবার দেবেন আর কী দেবেন না?
Memory Boosting Foods for Kids: শিশুদের সঠিক খাবার দিলে যেমন শিশুদের মনের ও বুদ্ধির বিকাশ হয়, স্মৃতিশক্তিও বাড়ে। যে সব শিশুকে অল্প বয়স থেকেই সঠিক পুষ্টি দেওয়া হয়, তারা অন্য শিশুদের তুলনায় অনেক দ্রুত বেড়ে ওঠে। তাই তাদের অ্যাক্টিভ থাকার আরও শক্তির প্রয়োজন হয়।
একই সঙ্গে তাদের মস্তিষ্কও এই সময়ে খুব দ্রুত বিকশিত হয়। শিশু অবস্থাতেই ব্রেনের বিকাশ হয়। এই সময়টাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই জানা দরকার কী খাবার দেবেন আর কী দেবেন না?
ডিম এবং মাছ
শিশুদের খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে তাদের শারীরিক বৃদ্ধির পাশাপাশি মস্তিষ্কও ত্বরান্বিত হয়।মানুষের মস্তিষ্ক ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডিএইচএ-এর মতো চর্বি দিয়ে তৈরি। এটি সব ডিমের কুসুম এবং বেশ কিছু মাছ যেমন স্যামন, সার্ডিন, অ্যাঙ্কোভিতে পাওয়া যায়। প্রোটিন, বি৬, বি১২ এবং ডি ভিটামিন পাওয়া যায়। একই সময় সেগুলো গুড কোলেস্টেরল বাড়াতে, দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন
সবুজ শাক-সবজি
আপনার সন্তানের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক-সব্জি অন্তর্ভুক্ত করলে তাদের মস্তিষ্কের উন্নতিতে সহায়ক হয়।সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল এবং ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে। পালং শাক, মেথি পাতা, ধনে পাতা, সরিষা পাতা, মোরিঙ্গা পাতা, বিট পাতা ইত্যাদির কোনও তুলনা হয় না। যা খেলে তারা ভিটামিন এ, বি, ই এবং সি-র পাশাপাশি বিটা ক্যারোটিন এবং ফোলেট পায়।
শুকনো ফল
শুকনো ফল শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য খুবই কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। সেই সঙ্গে এগুলো খেলে শরীরে শক্তি থাকে। একই সঙ্গে এটি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলও সরবরাহ করে। যা স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে খুবই সহায়ক। এতে পাওয়া ওমেগা-৩ থেকেও স্মৃতিশক্তি অনেক দ্রুত। শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে তাদের খাদ্য তালিকায় চিনাবাদাম, বাদাম, পেস্তা ও কাজুবাদাম রাখতে পারেন। এর সঙ্গে আপনি তাদের ডায়েটে কেয়া বীজ, তিলের বীজ, পোস্ত বীজ, সূর্যমুখী বীজ এবং চিয়াসিডের মতো বীজও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
ওট
ওটমিল ফাইবার সমৃদ্ধ এবং কোলেস্টেরল কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, আপনি সহজেই এটি সকালের খাবারেও নিতে পারেন। পোরিজ খাওয়া শিশুদের শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। একই সময়ে আপনি ক্রমাগত শক্তি মুক্তির জন্য পরীক্ষার আগে একটি ভাল খাবারের বিকল্প হিসাবে ওটস গ্রহণ করতে পারেন।
জাম, স্ট্রবেরি,
বেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন এবং অন্যান্য ফ্ল্যাভোনয়েড প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ব্লুবেরি, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, লাল চেরির মতো ফলগুলোতে অ্যান্থোসায়ানিন এবং অন্যান্য ফ্ল্যাভোনয়েড বেশি পাওয়া যায়। এগুলো থেকেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এটি ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। যা হাড় মজবুত করার পাশাপাশি শক্তি বাড়ায়। তাদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য শিশুদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।