শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাল ঘুম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, শারীরিক ক্রিয়া, মেজাজ উন্নত করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, রাতে অন্তত সাত ঘণ্টার কম ঘুম হলে, খিটখিটে মেজাজ হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, মনে হতে পারে যে আপনি খুব কঠিন সময় যাচ্ছেন। সম্প্রতি, এক গবেষণায় জানা যায় যে, কিছু জিনিস ঘুমকে বাধা দেয়। এই লক্ষণগুলি সনাক্ত করা খুব সহজ।
শরীরের প্রাথমিক স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের উচ্চ মাত্রা, এর জন্য দায়ী হতে পারে। বর্ধিত কর্টিসল ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, পেশী হ্রাস, মেজাজের পরিবর্তন, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এবং ঘুমের সমস্যা হতে পারে। কিছু খারাপ ঘুমের অভ্যাস উচ্চ চাপের হরমোনের লক্ষণ। আপনি যদি এই লক্ষণগুলির মধ্যে তিনটিও দেখতে পান, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করুন।
খারাপ ঘুমের অভ্যাস কোনগুলি?
* রোজ ভোর রাতে জেগে যাওয়া।
* মানসিক চাপের স্বপ্ন দেখা।
* প্রচুর ঘাম হওয়া।
* ঘুমোতে যাওয়ার আগে মানসিক শান্তির অভাব।
* ঘুম থেকে উঠে কাঁধ, ঘাড় বা কব্জিতে ব্যথা অনুভব করা।
* সারাদিন ক্লান্ত বোধ করলেও, ঘুমোনোর সময় হলে ঘুম না হওয়া।
* ঘুমের মধ্যে খুব গরম লাগা।
* ক্লান্তি বোধ
খারাপ ঘুম হলে কী করবেন?
প্রতিদিনের শারীরিক কার্যকলাপ, কম ক্যাফেইন খাওয়া, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঘুমের এক ঘণ্টা আগে টক দই, পিনাট বাটার এবং কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রোটিন-সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে, যার ফলে ভাল ঘুম হয়।
এই প্রতিবেদন সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে। কোনও শারীরিক সমস্যা দেখলে, যোগাযোগ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে।