বর্ষাকাল মানেই হঠাৎ করে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া, আর তার ফলেই অনেকের শরীরে ঠান্ডা-কাশির সমস্যা শুরু হয়। এই সময় বাজারচলতি ওষুধের দিকে না ঝুঁকে ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক মশলা ব্যবহার করলেই মিলতে পারে স্বস্তি। ভারতীয় রান্নাঘরে সহজলভ্য এমন কিছু মশলা আছে যেগুলো শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, বরং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, বর্ষার দিনে কোন কোন মশলা আপনাকে সর্দি-কাশি থেকে আরাম দিতে পারে।
আদা – প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক
আদা ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা ও কাশির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ঠান্ডার উপসর্গগুলি উপশম করতে সাহায্য করে। আদা চা কিংবা গরম জলে আদা ফুটিয়ে খেলে দ্রুত উপকার মেলে।
হলুদ – রোগ প্রতিরোধের দারুন সহায়ক
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, হলুদ বহু প্রাচীনকাল থেকেই সর্দি-কাশির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে থাকা কারকিউমিন প্রদাহ কমাতে, ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবং শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে পান করলেই গলা ব্যথা ও কাশিতে আরাম পাওয়া যায়।
কালো মরিচ – শ্বাসনালী পরিষ্কারে উপকারী
কালো মরিচে থাকা পাইপারিন উপাদান শ্লেষ্মা ভাঙতে ও নাক বন্ধ খুলে দিতে সাহায্য করে। এটি হলুদের মতো উপাদানের জৈব উপলভ্যতাও বাড়ায়। সামান্য মধু ও মরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়াও উপকারি।
দারুচিনি – গলা ব্যথা ও কাশিতে স্বস্তি
দারুচিনি অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানে ভরপুর। এটি কফ কমায়, গলার জ্বালা হ্রাস করে এবং শরীরকে উষ্ণ রাখে। চায়ের সঙ্গে দারুচিনি মিশিয়ে পান করলেই মিলবে স্বস্তি।
লবঙ্গ – শক্তিশালী ব্যথানাশক
লবঙ্গের ইউজেনল উপাদান ব্যথানাশক ও জীবাণু প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। গলা ব্যথা, শুকনো কাশি ও ঠান্ডার ক্ষেত্রে এটি দারুণ কার্যকর। মুখে লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়া বা লবঙ্গ চা খাওয়া খুবই উপকারি।
এই পাঁচটি মশলা বর্ষাকালে ঠান্ডা-কাশির সমস্যা থেকে প্রাকৃতিকভাবেই স্বস্তি এনে দিতে পারে। তবে উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।