লিভার শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে একটি। মস্তিষ্কের পর লিভার শরীরের সবচেয়ে দ্বিতীয় বড় এবং জটিল অঙ্গ। লিভারের মুখ্য কাজ হলো শরীরের সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বাইরে বের করে দেওয়া। এ ছাড়া লিভার ডাইজেশন, মেটাবলিজম ঠিক রাখা, পুষ্টি ভান্ডারকে জমা করার এই মহত্বপূর্ণ কাজগুলো লিভার করে এ কারণে লিভারকে হেলদি রাখা সব সময় জরুরি। না হলে লিভার খারাপ হতে শুরু করে এবং তার প্রভাব গোটা শরীরে পরে।
চিনি
বেশি মাত্রায় চিনি শুধু আপনার দাঁতকে যে খারাপ করে তাই নয়, বরং লিভার কেও সরাসরি ক্ষতি করে। ফ্যাট বানানো জন্য লিভার ফ্রকটোজ নামক একটি চিনি তৈরি করে। যদি বেশি মাত্রায় প্রসেসড সাদা চিনি এবং হাই কর্ন সিরাপ সেবন করা হয় তাহলে লিভার সমস্যায় পড়তে পরতে পারে। Webmd এর তত্ত্ব অনুযায়ী চিনি ক্ষতিকারক হতে পারে। যদি আপনার ওজন খুব বেশি হয় তাহলে পেস্ট্রি, কেক চিনিওয়ালা ড্রিঙ্ক এবং মিষ্টি উৎপাদন করা বিভিন্ন রকম খাবার করতে পারে। কিছু লোক চায়ে চিনি দিয়ে খান। তার মাত্রা কম করা উচিত।
হারবাল সাপ্লিমেন্ট
মার্কেটে পাওয়া হারবাল সাপ্লিমেন্ট যার মধ্যে লেখা আছে প্রাকৃতিক সাপ্লিমেন্ট। সেগুলি লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। Webmd এর গবেষণা অনুযায়ী কিছু স্টাডিজে জানা গিয়েছে যে হারবাল সাপ্লিমেন্ট লিভারের জন্য ঠিক নয় এবং এটি লিভারকে ম্যালফাংশন করতে বাধ্য করে। অনেক ক্ষেত্রেই এগুলি হেপাটাইটিস এবং লিভারের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই কারণে হারবাল সাপ্লিমেন্টগুলি থেকে দূরে থাকাই ভালো।
বেশি খাওয়া এবং স্থূলত্ব
রক্ত শরীরের ওজন জমা হতে শুরু করলে অতিরিক্ত লিভারের কোষগুলিকে জমা হয়ে যেতে পারে এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এর কারণ হতে পারে যে কারণে লিভারের শক্ত হতে শুরু করতে পারে। সময়ের সঙ্গে লিভারের এই ক্ষতি ধীরে ধীরে লিভারকে একটু শক্ত করে দেয়। ডাক্তারি পরিভাষায় সিরোসিস বলে। যদি আপনার ওজন অনেক বেশি হয় তাহলে সিরোসিসের আশঙ্কা থেকে যায় এ কারণে ডায়েটের মাধ্যমে এবং নিজের ওজন কম করার চেষ্টা করবেন।
সফট ড্রিংস
রিসার্চে জানা গিয়েছে যে যারা খুব বেশি মাত্রায় সফট ড্রিংকস খান তাদের নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু রিসার্চে এটা প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে সফট ড্রিংকস থেকে লিভার কমজোরি হয় কি না। যদি আপনার লিভার ভালো রাখতে চান তাহলে সেই দ্বন্দ্বে না গিয়ে ড্রিংকস কম খাওয়াই ভাল একেবারে বন্ধ করে দিতে পারলে আরো ভালো হয়।
প্য়াকেজড এবং ক্যানড ফুড
প্য়াকেজড এবং ক্যানড ফুড-এর খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। তাতে ট্রান্স ফ্যাট বেশি হয়। দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন রকম রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। যা মানব নির্মিত ফ্যাট কে আরো বেশি করে তোলে। যা নিশ্চিত তাপমাত্রায় গিয়ে জমা হয়ে যায়। ট্রান্স ফ্যাটওয়ালা ফুড খেলে ওজন যেমন বেড়ে যায় তেমনি স্থূলত্বের শিকার হতে হয় এবং এর ফলে তার প্রভাব পড়ে। এটা ধীরে ফ্যাটি লিভার এবং তারপরে সিরোসিসে পরিণত হতে পারে। যে সমস্ত খাবার বা প্যাকেটে জিরো ট্রানসফ্যাট লেখা থাকে সেগুলির মধ্যে কিছুমাত্রায় ফ্যাট থাকতে পারে।