Advertisement

Married Life Tips: বিয়ের পর মা না স্ত্রী-কার কথা শুনবেন? দু'জনের মন রাখতে জানুন এই উপায়

Married Life Tips: বিয়ের আগে জীবন একদম অন্যরকম থাকে। আপনি আপনার পরিবারের সদস্য়দের সঙ্গে, তাঁদের মধ্য়েই সময় কাটান। বাবা ও মা আপনাকে খুব ভালোবাসেন। এদিকে আপনার পার্টনার বা প্রেমিকাও আপনাকে খুবই ভালোবাসেন।

সুখী বিবাহিত জীবনের টিপসসুখী বিবাহিত জীবনের টিপস
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 29 Jul 2023,
  • अपडेटेड 7:29 PM IST
  • একদিকে তাঁর মা, যিনি তাঁকে বড় করেছেন। তাঁর স্নেহের কোনও তুলনা নেই। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী, যিনি তাঁকে খুব ভালোবাসেন এবং তাঁর জন্য বিয়ে করেছেন। তাঁর পরিবারকে ছেড়ে এসেছেন।

বিয়ের আগে জীবন একদম অন্যরকম থাকে। আপনি আপনার পরিবারের সদস্য়দের সঙ্গে, তাঁদের মধ্য়েই সময় কাটান। বাবা ও মা আপনাকে খুব ভালোবাসেন। এদিকে আপনার পার্টনার বা প্রেমিকাও আপনাকে খুবই ভালোবাসেন। এরপর দুজনের মধ্য়ে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। দুই পরিবারের মধ্য়ে কথা হয় এবং আপনারা বিবাহ বন্ধনে বাঁধা পড়েন। এরপর আপনার গার্লফ্রেন্ড হয় আপনার স্ত্রী, আপনার মায়ের সঙ্গে তাঁর শাশুড়ি-বউমা সম্পর্ক তৈরি হয়। এই সম্পর্ক শুধু মেয়েদের জন্যই নতুন নয়, ছেলেটির জন্যও এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা। বিয়ের আগে তিনি কখনও এই দুইজনকে এক ছাদের নিচে থাকতে দেখেননি। এরকম পরিস্থিতিতে আগে পড়েননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে অনেক সময়ই দেখা যায় ছেলেদের দোটানায় পড়তে। 

একদিকে তাঁর মা, যিনি তাঁকে বড় করেছেন। তাঁর স্নেহের কোনও তুলনা নেই। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী, যিনি তাঁকে খুব ভালোবাসেন এবং তাঁর জন্য বিয়ে করেছেন। তাঁর পরিবারকে ছেড়ে এসেছেন। নিজের স্বাচ্ছন্দ্যতা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এই দুই মানুষ এক নয়, এমন পরিস্থিতিতে দুজনের চিন্তাভাবনাও অনেক বিষয়ে আলাদা হতে পারে। তখন ঠিক কী করা উচিত। 

দুরত্ব বজায় রাখুন
যখন আপনার স্ত্রী ও মায়ের মধ্য়ে কোনও বিষয় নিয়ে তর্ক হচ্ছে, সেই সময়ে আপনাকে তাঁরা প্রশ্ন করতেই পারেন, কোন মতটি আপনার ঠিক মনে হল? এই সময়ে আপনার যে মতটি ঠিক লাগছে, তা তো আপনি জানাতেই পারেন। কিন্তু এতে যে কোনও একজনের মনে আপনাকে দুঃখ দিতে হবে। তাই আপনি এরকম বলতে পারেন যে, আপনি বিষয়টা বুঝতে পারছেন না। তাঁরা দুজনে যেন নিজেদের মধ্য়ে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করে নেন। স্বামীদের এই স্বভাবই কিন্তু স্ত্রীর মন বিষিয়ে দেয়! কিন্তু এই ধরনের জবাব পেলে আর কেউ কোনও কিছু আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে না।

সময় নিন
মেয়েরা কিন্তু কোনও বিষয়েই হাল ছাড়তে নারাজ। তাই আপনি যখনই মতামত জানানো থেকে পিছিয়ে আসবেন, তাঁরা আপনাকে বারবার সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য় জোর দিতে পারেন। সেই সময় আবেগের বশে কোনও কথা বলে ফেলবেন না। বরং, ঠান্ডা মাথায় উত্তর দিন। তাঁদের কাছ থেকে সময় চেয়ে নিন। দুজনের মতামত শুনে নিজের মতো একটি লিস্ট তৈরি করুন। সেখানে দুজনের মতামতের খারাপ দিক ও ভালো দিককে গুরুত্ব দিন। এরপর নিজের মত তাঁদের জানান, দুজনকেই বুঝিয়ে বলুন যে, কোনটা খারাপ দিক ও কোনটা ভালো। একজনকে খারাপ ও অন্য়জনের মতামত ভালো বলবেন না। বরং দুজনের মতেই খারাপ ও ভালো দিক বুঝে নিন।  

Advertisement

আলাদা আলাদা করে কথা বলুন
আপনি যদি দেখেন, একজনের কথায় সম্মতি জানালে আপনার বাড়ির শান্তি বজায় থাকছে, সেক্ষেত্রে আপনি কী করবেন? যেমন ধরুন, রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়ার প্ল্যান হচ্ছে। সেখানে আপনার মা একটি রেস্তরাঁয় যেতে চাইছেন, বউ আরও একটি রেস্তরাঁয় যেতে চাইছেন। এই সময় দুজনের সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলুন। তাঁদের পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলুন। তাঁরা আপনার কথা নিশ্চয়ই শুনবেন। আপনার ভালো লাগার কথা তাঁদের জানালে, সেই কথার দাম নিশ্চয়ই তাঁরা দেবেন।

পরামর্শ নিন
আপনার বাবা বা কোনও বিবাহিত বন্ধু বা আত্মীয়ের পরামর্শ নিতে পারেন। যেহেতু তাঁরা ইতিমধ্যে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁরা কী বলতে বা করতে হবে তা জানেন। কী বললে বা করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে সেই বিষয়েও পরামর্শ দিতে পারেন।

Read more!
Advertisement
Advertisement